চট্টগ্রামের আনোয়ারায় যাত্রীবেশী ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। আজ সোমবার (২৭ ‍জুলাই) পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের বাদামতল এলাকায় গত রবিবার (২৭ জুলাই) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলো কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীর পুরের মরহুম শামসুল আলমের ছেলে আব্দুল মোনাফ জনি (২৩) ও শিকলবাহার মরহুম সোলাইমানের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২৫) ও বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর গুয়াপঞ্চক গ্রামের মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে মোহাম্মদ মোরশেদ (১৮)।

জানা যায়, সাতকানিয়ার মসলা ব্যবসায়ী আবদুর রহিম গত রবিবার রাতে মসলা আনতে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী যাওয়ার জন্য আনোয়ারা পিএবি সড়কের কালাবিবির দীঘির পাড় থেকে একটি সিএনজি অটোরিক্সায় পেঁছনের সিটে উঠে বসে। এ সময় ওই গাড়িতে আরো ৪ জন যাত্রী ছিল। সিএনজি অটোরিক্সাটি আনোয়ারা সর্দার পাড়া যাওয়ার পর সামনের সিটের একজনসহ পেঁছনে এসে আবদুর রহিমকে জড়িয়ে ধরে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় ছিনতাইকারীরা গাড়ি পুনরায় আনোয়ারার দিকে ফিরিয়ে আবদুর রহিমের গলায় চুরি ধরে মুখে আঘাত ও মারধর করে তার কাছ থেকে নগদ ৪২ হাজার টাকা, একটি মোবাইল, মানিব্যাগ ও এনআইডি কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে সৈয়দকুচাইয়ার মোড়ের পূর্বপাশে গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এ সময় তার আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলেও ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ছিনতাইকারীদের পিঁছু নিয়ে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের বাদামতল এলাকা থেকে তাদের ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত সিএনজি আটোরিক্সাসহ ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে আনোয়ারা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তবে সিএনজি চালক শাহেদ পালিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, যাত্রীবেশী একটি ছিনতাইকারীদল দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। রবিবার রাতে ছিনতাইকালে স্থানীয়া ৩ জনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আবদুর রহিম বাদি হয়ে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ সোমবার আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পলাতক সিএনজি চালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পূর্বকোণ/আনোয়ার-আরপি