চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ইয়াবা দিয়ে মারুফকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন এসআই হেলাল: তদন্ত কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ জুলাই, ২০২০ | ৮:১৫ অপরাহ্ণ

থানাকে না জানিয়ে অগোচরে সাদা পোশাকে গিয়ে কিশোর সালমান ইসলাম মারুফকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন এসআই হেলাল উদ্দিন।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় সিএমপি কমিশনার মো. মাহবুবর রহমানকে ১৮ পৃষ্টার এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে এমন সব চালেঞ্জকর তথ্য ওঠে এসেছে। তদন্ত  কমিটির প্রধান নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মনজুর মোর্শেদের সাথে এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির অন্য দুই সদস্য ডবলমুরিং জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) শ্রীমা চাকমা ও নগর পুলিশের সিএসবি শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) নুরুল আফসার ভূইয়া।

তদন্ত প্রতিবেদনে এসআই হেলালকে বরখাস্তের সুপারিশ করা হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই ডবলমুরিং থানার এসআই হেলালকে বরখাস্ত করা হয়েছে।১৮ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার পূর্বাপর তুলে ধরা হয়। এরআগে মারুফের পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয় সংশ্লিষ্ট ১৭ জন এবং ১৫ জন পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

তদন্ত কমিটির প্রধান গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদ জানান ‘কোনো পুলিশ কর্মকর্তার কোন অভিযানে যেতে হলে থানায় এ সংক্রান্তে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে বের হওয়ার নিয়ম থাকলেও সেদিন এসআই হেলাল ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে থানাকে অবহিত করেননি। থানায় এ সংক্রান্ত কোনো জিডিও এন্ট্রি করেনি। এছাড়া তিনি সিনিয়র অফিসরদের অবহিত না করেই সেখানে গিয়ে তিনি সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন। ভিকটিম (মারুফ) ও তার মা-বোনকে মারধর করে এবং ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়। যার কারণে এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে’। এসআই হেলালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করেছে তদন্ত কমিটি।এ বিষয়ে তদারকির ঘাটতির কারণে ওসি সদীপ কুমার দাশকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

নিহত মারুফের মায়ের দারী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই লোক গিয়ে মারুফের বাসায় উঁকি দিচ্ছিলেন। এসময় মারুফ তাদের ‘চোর চোর’ বলে ধরে ফেলেন। এরপর এসআই হেলাল পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে মারুফকে মারধর করেন এবং থানায় ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা এবং টাকা দাবি করে। মারুফের মা ও বোন পুলিশকে বাধা দেন। এসময় মারুফের বোন অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়ার ফাঁকে মারুফ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট