চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাউজানের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বখতিয়ার ফকির অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

রাউজান সংবাদদাতা

১৮ জুলাই, ২০২০ | ৯:০৫ অপরাহ্ণ

রাউজান উপজেলার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও ভন্ড বৈদ্য কাজী মো. বখতিয়ার (৪৫) প্রকাশ ‘বখতিয়ার ফকির’কে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে নারী-শিশু নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধে রাউজান থানায় ৯টি মামলা রয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেপায়েত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার নজুমিয়া হাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
 আসামি বখতিয়ার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রাউজানস্থ ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন ফকির তকিয়া এলাকার মৃত কাজী বজল আহম্মদের পুত্র।
পুলিশ তার জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক পুলিশ একই রাতে তার ফকির তকিয়ার বসতঘর থেকে ১টি দেশীয় তৈরী শর্টগান, একটি দেশীয় তৈরী এলজি, দশ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আজ আরো একটি অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ভন্ড বৈদ্য বখতিয়ার ও তার সহয়োগীরা নেতৃত্বে রাউজানের পশ্চিম রাউজান কেউটিয়া এলাকায় সোলায়মান খানের ঘর ডাকাতি করে গত ১৯৯৪ সালে। ওই ডাকতির ঘটনার পর ভন্ডপীর বখতেয়ার ও তার সহযোগিরা রাউজানের পাহাড়ি এলাকায় গোপন আস্তানা গড়ে তোলে। ভন্ড বখিতয়ার ও তার সহযোগিরা পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা গড়ে তোলে প্রতিনিয়ত আস্তানা থেকে রাউজানে এসে অপহরন, ডাকাতি, চাদাঁবাজি, ছিনতাইয়ের ঘটনা সংগঠিত করতো। বখতিয়ার ও তার সহযোগীকে রাউজান থানার তৎকালীন ওসি নুরুল আলম অস্ত্রসহ কাউখালী থানার পুলিশের সহায়তায় কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের মনাইপাড়া থেকে গত ৯৫ সালে গ্রেফতার করে। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে নিজেকে পীর দাবি করে তার বাড়ি রাউজান পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রাউজান ফরেষ্ট অফিস এলাকায় আস্তানা গড়ে তোলে। কয়েকজন সে কিছু দালাল সৃষ্টি করে প্রতিদিন তার আস্তানায় নিঃসন্তানকে মহিলাকে সন্তান দান, দাম্পত্য কলহ নিরসন, জ্বীন, পরী, পেত্নি থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলে প্রতারনা নারী-পুরুষের সাথে প্রতারণা করতো। সরল বিশ্বাসে তার আস্তানায় এসে অনেকে আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। আর ভন্ডপীর বখতিয়ার আয় করে নিয়েছে অজশ্র অর্থ। সে নিজেকে বখতিয়ার ফকির হিসাবে জাহির করতো।
সে একজন সন্ত্রাসী ডাকাত হওয়ার পরও পাঞ্জাবি, মাথায় টুপি দিয়ে আস্তানায় আসা মহিলা পুরুষের তাবিজ-কবজ, ঝাঁড়, ফুঁক দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিতো। বখতিয়ার কয়েক দফায় পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলে গেলেও সে বিভিন্নভাবে জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো এলাকায় ভন্ডামি করে লোকজনের সাথে প্রতারনা করে আসছিল। রাউজান থেকে তাকে এলাকার লোকজন বিতাড়িত করলেও সে পার্শ্ববর্তি হাটহাজারী উপজেলার নজু মিয়ার হাট এলাকায় আস্তানা গড়ে তোলে। সর্বশেষ সেখানে নিজেকে ফকির দাবি করে লোকজনের সাথে প্রতারনা করে আসছে। 
পূর্বকোণ / আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট