চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চকরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ভাতিজাসহ কাউন্সিলর আহত, আটক ১

চকরিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় ভাতিজাসহ কাউন্সিলর আহত, আটক ১

চকরিয়া-পেকুয়া প্রতিনিধি

১৭ জুলাই, ২০২০ | ১০:৩০ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভায় সন্ত্রাসীদের হামলায় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিমের একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন ও তার ভাতিজা সাঈদী শাহেদ মিঠুর দু’টি আঙ্গুল কেটে যায়। আহতদের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৩টার দিকে নিজ ওয়ার্ডে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শনকালে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের উপর বিএনপি’র ক্যাডার শ্রমিকদলের নেতা কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সস্ত্রাসী হামলা চালায়।

আহতদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কাউন্সিলর রেজাউলের অবস্থা অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিলে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিম চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক এবং সাঈদী সাহেদ মিঠু তার ভাতিজা। স্থানীয়রা কফিল উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আটককৃত কফিল উদ্দিন একই এলাকার বাদশার ছেলে।

এদিকে, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ আলহাজ জাফর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতারা ঘটনার পরপরই গুরুতর আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পৌরসভার সড়ক নির্মাণের কাজ চলছিল। কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এই সড়ক নির্মাণকাজে বাঁধা প্রদান করে আসছে। একপর্যায়ে গত কয়েকদিন আগে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের সাথে কফিল উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। এতে কফিল উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে কাউন্সিলর রেজাউল করিম বাসায় ফেরার পথে ধারালো কিরিচ ও দা দিয়ে তার উপর হামলা চালায়।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, একজন জনপ্রতিনিধির উপর হামলা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায় না। হামলারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ আলহাজ জাফর আলম বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ধরনের হামলা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায়না। এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে কফিল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। কারা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের পরিচয় উদঘাটন করতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/জাহেদ-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট