চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘চমেকে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সংগঠনের বক্তব্যে নূন্যতম কোন সংশ্লিষ্টতা ছিল না’

অনলাইন ডেস্ক

১৭ জুলাই, ২০২০ | ৩:৫৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত চট্টগ্রাম বিএমএ, আইডিএ ও চমেকসু’র বক্তব্য সম্বলিত বিবৃতি এ সংগঠনসমূহের ভাবমূর্তিতে কালিমা লেপন করে দিয়েছে দাবি করেছেন ঐদিনের ঘটনায় আহত সাত ছাত্রলীগ কর্মী।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘ঐদিন সংঘটিত বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার সাথে এই তিন সংগঠনের বক্তব্যে ন্যূনতম কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এটি পুরোপুরি একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী ঘটনা। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহোদয়ের চমেক হাসপাতালে আগমন ও উপস্থিতিকে অহেতুক বিতর্কিত করার লক্ষে পূর্ব থেকেই সিক্রেট ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঐদিনের সন্ত্রাসী ঘটনার জন্ম দেয়া হয়েছে। মেসেঞ্জার গ্রুপের যাবতীয় স্ক্রীনশট আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে। গ্রুপ চ্যাট ও ঐদিনের চমেক ও চমেকহা’র সিসিটিভি’র ফুটেজ পর্যালোচনা করলেই আমাদের বক্তব্য ও দায়েরকৃত মামলা’র প্রতিটি শব্দ সত্য বলে প্রমাণিত হবে।

চমেকে গত দু’যুগে সংঘটিত যাবতীয় হত্যাকান্ড, রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী ঘটনার নায়ক ও মামলাসমূহের মূল আসামীরাই ঐদিনের ঘটনার মূল কুশীলব। আমরা যারা হামলার শিকার তারা সবাই চমেক’র ছাত্র, যারা হামলা করেছে তাদের বেশিরভাগই বহিরাগত,বিভিন্ন কর্মস্থলে কর্মরত,কিন্তু পরিকল্পিতভাবে ঐদিন ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে তারা আরেকটি রক্তক্ষয়ী ঘটনার জন্ম দিতে চেয়েছেন। বিএমএ’র নামে যিনি বিবৃতির স্বাক্ষরদাতা, তিনি শিক্ষক হয়েও অধ্যক্ষ কার্য্যালয়ে অবস্থান করে পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ‘৯২ সালে সংঘটিত ট্রিপল মার্ডারের তিনিও মূল আসামি। ২০১১ অক্টোবরের আরেক হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ও আসামিরাই এবারের ঘটনারও মূল নায়ক। এটাই প্রমাণ করে, যারা গত দু’যুগে বারবার চমেক ক্যাম্পাস উত্তপ্ত ও রক্তাক্ত করার নেতৃত্ব দিয়েছে, তারাই তাদের তালুক রক্ষায় আবারো এ ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটানোর পায়তারা করছে।’

বিবৃতিদাতারা হলেন- খোরশেদুল ইসলাম (৫ম বর্ষ), ইমন শিকদার (৫ম বর্ষ), অভিজিত দাশ (৩য় বর্ষ), ফাহাদুল ইসলাম (৩য় বর্ষ), হোজাইফা বিন কবির (৩য় বর্ষ), কনক দেবনাথ (৩য় বর্ষ), সাজেদুল ইসলাম (২য় বর্ষ)।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট