চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মতি টাওয়ারে দুই মাসের ভাড়া মওকুফ

বিকেলে দেখা মিলছে কিছু ক্রেতার তবে কেনাকাটা বেচাবিক্রি নেই

মরিয়ম জাহান মুন্নী

১৭ জুলাই, ২০২০ | ২:১৪ অপরাহ্ণ

বিকেলের দিকে কিছু নারী ক্রেতার দেখা মিললেও বিক্রি নেই এক টাকাও। তারা দোকানে এসে এটা সেটা দেখছে আর দর-দাম করে বেরিয়ে যাচ্ছে। অনেক অনুনয় করেও বিক্রি করতে পারছি না একটা সুতা। সারা দিন বসে আছি, যদি একটা কাপড় বিক্রি করতে পারি! কিন্তু না ক্রেতাদের যেন কেনার ইচ্ছে নেই। কথাগুলো বলছিলেন চকবাজারের মতি টাওয়ারের ব্যবসায়ী সোলেমান।

কিন্তু আগে নগরীর বেশ কয়েকটি জমজমাট শপিংমলের মধ্যে চকবাজারের মতি টাওয়ারও একটি। এখানে সকাল থেকে রাত অবধি বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় সরগম হয়ে থাকতো। এছাড়া এ এলাকায় চট্টগ্রাম কলেজ, মহসিন কলেজসহ আরো বেশ কিছু স্বনামধন্য স্কুল কলেজও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে একসময় মুখর হয়ে থাকতো এ শপিংমলটি। কিন্তু আগের সেই চেনা দৃশ্য এখন আর দেখা যায় না। বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এক্ষেত্রে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে পোশাক, প্রসাধনী সামগ্রীর সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে টানা দুই মাস ১০ দিন বন্ধ ছিল সবগুলো শপিংমল। পরবর্তীতে এসব মলগুলো খুললেও নেই বেচাকেনা। তবে করোনার এ মহামারীতে দেশে অনেক আলোচিত দুর্নীতির মাঝেও আমরা অনেক বেশি মানবিক সমাজও দেখেছি। এই যেমন অনেকে অসুস্থ ব্যক্তির পাশে ওষুধ নিয়ে দাঁড়িয়েছে, ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ অসহায় দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছে। তেমনি দুর্যোগের মুহূর্তে ও ব্যবসায়ীদের জন্য সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মতি টাওয়ার দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সদস্যরা।

মতি টাওয়ারের ব্যবসায়ী ছোটন বড়ুয়া বলেন, আমাদের এখানে দুই মাসের ভাড়া মওকুফ করেছে ও অন্যন্য মাসগুলোতে অর্ধেক ভাড়া দিতে হবে। তবে মার্কেটে কেনাবেচা একেবারেই নেই। নেই কোনো কাস্টমার। আমার সেলাইয়ের দোকান। সারাদিনে মাত্র ৪২০ টাকার অর্ডার নিয়েছি। ভাড়া দিতে কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া দোকানে অনেক খরচতো আছেই। ভাড়া কমিয়েছে ঠিকই তবে আমরা খুব কষ্টে আছি।

এবিষয় মতি টাওয়ার দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সমির কান্তি পাইক বলেন, আমরা যারা দোকানের মালিক তারা ভাড়াটি ব্যবসায়ীদের দুই মাসের ভাড়া মওকুফ করেছি ও বাকি মাসের অর্ধেক ভাড়া দিবে বলে আলোচনা হয়েছে। এটি সকল মালিকের সম্মতিতে গ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা দোকান মালিকরা মতি টাওয়ারের প্রদান মালিক আনোয়ার শাহাদাতের বরাবর একটি অনুরোধ করেছি তারাও যাতে আমাদেরকে দুই মাসের ভাড়া মওকুফ করে। মতি টাওয়ার মতি কমপ্লেক্সের মালিক আনোয়ার শাহাদাতের ম্যানেজার দিনুরুল ইসলাম বলেন, মালিক পক্ষের অনেক খরচ আছে। যেগুলো সবই মালিককে দিতে হয়। তাই চাইলেই দুই মাসের ভাড়া মওকুফ করা যায় না। তবুও মতি টাওয়ারের মালিক পক্ষ এনিয়ে ভাবছেন। মালিক পক্ষ যা সম্ভব হয় তাই করবেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট