চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

সীতাকুণ্ডে মসজিদের পাশে আরেক মসজিদ নির্মাণ, মুখোমুখি দুই পক্ষ

সীতাকুণ্ডে মসজিদের পাশে আরেক মসজিদ নির্মাণ, মুখোমুখি দুই পক্ষ

সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা

১৩ জুলাই, ২০২০ | ৮:৪৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মসজিদের খতিব নিয়ে মত বিরোধের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ভাটিয়ারীতে একপক্ষ ওই খতিবকে দ্রুত পদত্যাগের দাবি জানিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় তারা একই এলাকায় আরেকটি মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করলে খতিবের পক্ষে অবস্থানকারীরা তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছালে মসজিদ নির্মাণকারীদের সাথে পুলিশের সাথে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের বিএমএ গেট নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদের খতিব লিয়াকত আলী নোমানীকে বিতর্কিত ব্যক্তি উল্লেখ করে মুসল্লিদের একটি অংশ তাকে অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু মসজিদ কমিটির দায়িত্বে থাকা মামুন উদ্দিন টিটু, পারভেজ উদ্দিন সান্টুসহ অপর অংশ খতিবকে সরানোর জন্য আরো সময় চান। সময় দিতে না পারলে মুসল্লিদের অন্যত্র গিয়ে নামায আদায় করতে বলেন। এর ফলে খতিবের বিপক্ষে থাকা মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে তারা রাগের মাথায় আজ সোমবার সকালে ওই মসজিদের কাছেই আরেকটি অস্থায়ী মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু খতিবের পক্ষে থাকা কমিটির লোকজন ও তাদের অনুসারীরা তাতে বাধা দিতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উভয়পক্ষ নানান দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ সদস্যরা সেখানে পৌঁছান। এ সময় পুলিশের সাথে মসজিদ নির্মাণকারীদের তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উভয়পক্ষকে বিকেলে উপজেলা পরিষদে আসতে বলেন। সেখানেই সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ভাটিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদের খতিবকে এক পক্ষ মানতে নারাজ। তাই ওই খতিবের কাছে নামাজ আদায় করবে না জানিয়ে তারা একই মসজিদের একশ’ ফুট দূরে আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করতে চান। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হলে বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। তাতে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে খতিবকে পদচ্যুত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষ মেনে নেয়ায় সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, খতিবকে মানা-না মানা নিয়ে দু’পক্ষে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। যারা খতিবের বিরোধী তারা আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করতে চেয়েছিল। পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমস্যাটি সমাধান করা হয়েছে।

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/সৌমিত্র-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট