নগরীর সবচেয়ে বড় আবাসিক এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম চান্দগাঁও আবাসিক। প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ প্লট নিয়ে গড়ে ওঠা এই আবাসিক এলাকা বেশ সমৃদ্ধ। লোকসংখ্যা রয়েছে প্রায় ৩০ হাজার। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি এই এলাকাকে দিয়েছে বাড়তি আভিজাত্য। পাশাপাশি সবুজায়ন, খেলার মাঠ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নিজস্ব এম্বুলেন্সসহ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা (বি-ব্লক) কল্যাণ সমিতি। এবার এই এলাকার বি-ব্লকের বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় যোগ হল ৬৫ টি সিসিটিভি ক্যামেরা।
চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসান মাহমুদ চৌধুরীর উদ্যোগে এই ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়। এর আগে এই আবাসিকের অন্যান্য ব্লকেও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। ক্যামেরা স্থাপনের মধ্যে দিয়ে গোটা আবাসিক এলাকাকে শতভাগ নজরদারির আওতায় আনা হল। ১৫টি সড়কসহ ১৮টি সংযোগ সড়কের ২৭টি পয়েন্টে এসব সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এর মাধ্যমে কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে এলাকার সবকিছু অনায়াসে প্রত্যক্ষ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিক হোসেন বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবস্থার মাধ্যমে এলাকায় কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তা শনাক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহজ হবে। কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসান মাহমুদ চৌধুরীর সহযোগিতায় এ এলাকায় যে উন্নয়ন চলছে তারই আরেক ধাপ হচ্ছে আজকের এই কার্যক্রম।
এ বিষয়ে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও কাশেম-নূর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরী দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘এলাকাবাসীর নিরাপত্তায় অত্যাধুনিক ক্লোজ সার্কিট এতে সমগ্র এলাকা সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। এসব ক্যামেরা এলাকায় কোন অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীকে সহজে শনাক্ত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ সহজ করে তুলবে। বি-ব্ল¬কে ৬৫টি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে গোটা আবাসিক এলাকাই এখন নজরদারির আওতায় এলো।’
পূর্বকোণ / আরআর