চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

হাওলা-কানুনগোপাড়া সড়ক

সংস্কারের গ্যাঁড়াকলে বিপর্যস্ত চলাচল অবকাঠামো

সেকান্দর আলম বাবর

১০ জুলাই, ২০২০ | ২:২৮ অপরাহ্ণ

বোয়ালখালী উপজেলার লাইফ-লাইন হাওলা কানুনগোপাড়া সড়কের ছন্দারিয়া খালের অংশে চলছে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণকাজ। নির্মাণে ধীরগতির কারণে এক বছর পর ১ কিলোমিটারের এ অংশে কাজ হয়েছে ১‘শ গজের মতো। বাকি অংশে পাইলিং করা হলেও অজ্ঞাত কারণে গত কয়েকদিনে তুলে নেয়া হচ্ছে সেই পাইলিংয়ের খুঁটি। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ।

এদিকে মূল সড়ক বন্ধ করায় বিকল্প পথে ভারী যান চলাচল করতে গিয়ে পোহাতে হচ্ছে নরক যন্ত্রণা। জানা যায়, অলি বেকারী থেকে হাজির হাট পর্যন্ত মূল সড়ক বন্ধ বছর ছুঁই ছুঁই। আইন রয়েছে বিকল্প পথ তৈরি করেই মূল সড়ক বন্ধ করার। তবে সওজের অধীনে এ সড়কটিতে বিকল্প পথ তৈরি না করেই বন্ধ করা হয়েছে মূল সড়ক। অন্যদিকে, রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণে ধীরগতির কারণে এক বছর পর ১ কিলোমিটারের এ অংশে কাজ হয়েছে ১’শ গজের মতো। বাকি অংশে পাইলিং করা হলেও অজ্ঞাত কারণে গত কয়েকদিনে তুলে নেয়া হচ্ছে সেই পাইলিংয়ের খুঁটি। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ। ছোটখাট গাড়ি চলতে গিয়ে যেকোনো সময় সড়কের পাশের খালে গিয়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সরেজমিনে দেখা যায়, ছন্দারিয়া খালের অলি বেকারীর পর আবদুর রহমান চেয়ারম্যানের ঘাটা এলাকায় রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের জন্য পাইলিং করা খুঁটিগুলো তুলে নিচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বিল্ডার্স, তাহের এন্ড ব্রাদার্স ও মেসার্স সালেহ আহমেদ জেবির শ্রমিকরা। খালে থই থই পানি, খুঁটিগুলো তুলতে গিয়ে সড়কের ধার ভেঙে পড়ছে খালে। সংকুচিত হচ্ছে সড়ক। সিএনজিচালিত ট্যাক্সি, এমনকি মোটর সাইকেল চলার সুযোগটাও চলে যাচ্ছে। কথা হয় ঠিকাদারের অধীনে কাজ করা কয়েক শ্রমিকের সাথে। তারা বলেন, খুঁটিগুলো তুলে নেয়াতে রাস্তাটি এ বর্ষাতেই খালে বিলীন হবে। তারা বলেন, খুঁটি রাখতেই হবে। কেন তুলে নিচ্ছে জানে না বলে জানান তারা।

এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এসএস জসিম উদ্দিন বলেন, সওজ আর ঠিকাদার কারও কথা শুনছে না। মূল সড়কের বিকল্প চিন্তা না করে গ্রামের ভেতরের সড়কগুলো ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। তদুপরি পাইলিংয়ের খুঁটিগুলো তুলে নিয়ে সড়কটিকে শূন্য যান চলাচলে নিতে চায় কর্তৃপক্ষ। এতে ভেঙে পড়বে গ্রামীণ অবকাঠামো।

এ ব্যাপারে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (সওজ) ও বোয়ালখালীর দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা টোয়েন চাকমা বলেন, খুঁটিগুলো লোহার তাই তুলে ফেলা হচ্ছে। এরপর গাছের খুঁটি দেয়া হবে। সড়কের ক্ষতি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাতো অবশ্যই। তবে কখন এ সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী হবে, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট