চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

জোয়ারের পানিতে নগরবাসীর ভোগান্তি আর কতদিন!

মেগা প্রকল্প সত্ত্বেও সুফল নেই

ইমরান বিন সবুর

১০ জুলাই, ২০২০ | ২:১২ অপরাহ্ণ

জোয়ারের পানিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। বিশেষ করে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে দিনে দু’বার করে জোয়ারে পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন এলাকাবাসী। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প নেয়া হলেও এখনো নগরবাসী তার সুফল পাচ্ছে না বলে অভিযোগ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। গতকাল নগরীর আগ্রাবাদ, হালিশহর, বাকলিয়া, চকবাজার, চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে এক প্রকার পানিবন্দী হয়ে পড়েন লোকজন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে পানি প্রবেশ করলে দুর্ভোগে পড়ে ডাক্তার, রোগী ও রোগীর স্বজনরা। এ কারণে হাসপাতালে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের। এছাড়া, আগ্রাবাদ জেলা শিক্ষা অফিসের নিচতলা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। সেখানেও একই সমস্যায় পড়েন যাতায়াতকারীরা। পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ার ফলে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে।

অন্যদিকে, গত কয়েকদিন ধরে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে দোকান ও আড়ত। চাক্তাইয়ের চালপট্টি, শুঁটকিপট্টি, মকবুল সওদাগর রোড ও আছদগঞ্জ ও এর আশপাশের নিচু এলাকা জোয়ারে হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। এসময় বেচাকেনা বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা মালামাল রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

জানতে চাইলে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, ‘প্রতিবছর জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়ছে। জোয়ারের সময় পানি আটকে দিতে চাক্তাই খালের মুখে একটি স্লুইস গেট বসানোর কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। দুই বছর আগে কাজ শুরু হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি কিংবা এর কোন সুফলও পাচ্ছি না। কাজের জন্য খালের মুখে বাঁধও দিয়েছে। ফলে জোয়ারের পানি প্রবেশ করলেও ভাটার সময় পানি দ্রুত সরে যেতে পারছে না।’

জোয়ারের পানিতে গৃহবন্দী হয়ে পড়েন নগরীর আগ্রাবাদ ও হালিশহর এলাকার বাসিন্দারা। জোয়ারের সময় এসব এলাকার বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যায়। এসময় দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের। একই সমস্যা পোহাতে হয়েছে দোকানদারদের। জোয়ারের পানিতে দোকানের মালামালও নষ্ট হয়ে যেতে দেখা যায়।

এছাড়া, বাকলিয়ার মিয়া খান নগর, শান্তি নগর, ডিসি রোড, দেওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠার খবর পাওয়া যায়। মিয়াখান নগর এলাকা রিদুয়ানুল হক নামের মুদি দোকানদার জানান, গত কয়েকদিন ধরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনে দু’বার দোকানে পানি প্রবেশ করছে। দোকানের অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মালামাল নষ্ট হওয়ায় অনেক টাকা ক্ষতি হওয়ার আশংকা করছি।

চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। পুরো বর্ষাজুড়ে এ অবস্থা চলমান থাকবে।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট