মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার ও ওষুধ রাখায় ৭ প্রতিষ্ঠানকে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার। ৪ জুলাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নগরীর চান্দগাঁও ও বায়োজিদ থানা এলাকায় চলমান অভিযানে ৭ প্রতিষ্ঠানকে ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। অভিযানে পরিচালনাকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় মেয়াদোত্তীর্ণ দই, কোমল পানীয়, ওষুধ ধ্বংসসহ ১টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, অভিযানে চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার জিবিয়া স্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য রাখায় সাত হাজার টাকা জরিমানা, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসকে মেয়াদোত্তীর্ণ দই ও কোমল পানীয় রাখায় ২০ হাজার টাকা, হাসান বেকারিকে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক রাখায় চার হাজার টাকা,লন্ডন বেকারিকে তাদের উৎপাদিত বেকারি পণ্যে উৎপাদন, মেয়াদ ও খুচরামূল্য না দেয়ায় চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মোহরা কামাল বাজারের আল আমিন স্টোরকে অননুমোদিত ড্রিঙ্ক রাখায় এক হাজার টাকা। এক ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোহরা এলাকার এম আলম ফার্মেসিকে ১৩০ টাকার স্যানিটাইজার ৪০০ টাকায় বিক্রয়ের প্রস্তাব করায় ১০ হাজার জরিমানা করা হয়। বায়েজিদ থানার ওয়জেদিয়া চৌরাস্তার কেয়ার মেডিকেল হলকে মেয়াদ বিহীন কাটা ওষুধ সংরক্ষণ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার ইমরান এন্ড ব্রাদার্সকে মেয়াদ বিহীন মোড়কজাত দুধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ।
পূর্বকোণ / আরআর