বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) শওকত আলী (৬৮) বীর প্রতীককে নগরীর গরিব উল্লাহ শাহ মাজারে জানাজা শেষে সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম সিএমএইচে রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে এক নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) শওকত আলী (৬৫) বীর প্রতীককে নগরীর গরিব উল্লাহ শাহ মাজারে জানাজা শেষে সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে।
রবিবার (৫ জুলাই) বাদ জোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে দাফন করা হবে বলে জানান শওকত আলীর ছেলে মো. ইমরান মোরশেদ।
শনিবার (৪ জুলাই) বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে মুক্তিযুদ্ধে এক নম্বর সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) শওকত আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ নানান রোগে ভুগছিলেন। গত ১০ দিন ধরে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। নাসিরাবাদ প্রপার্টিজ এলাকায় তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তাঁর বাবার নাম এম আশরাফ আলী, মা শিরীন আরা বেগম, স্ত্রী নাসিমা বেগম। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। পৈতৃক বাড়ি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার খট্টেশ্বর গ্রামে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর শওকত (অবসরপ্রাপ্ত), বীরপ্রতীক মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর সাব সেক্টর কমান্ডার হিসাবে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র স্বাধীন করাসহ বেশ কয়েকটি অপারেশনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে এই অসীম সাহসিকতার জন্য তাঁকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রথম নামাজে জানাজা আজ সকাল ১১০০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত জানাযায় ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসিসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা আজ বাদ যোহর চট্টগ্রামের গরীবুল্লাহ শাহ মাজার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় এবং জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মাজার কবরস্থানে এই মহান মুক্তিযোদ্ধা চিরনিদ্রায় শায়িত হন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পূর্বকোণ/পিআর