নগরীর বিভিন্ন এলায়ায় অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ শনিবার (৪ জুলাই) অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় চান্দগাঁও ও বায়েজিদ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, নগরীর মোহরায় এম আলম ফার্মেসিতে ১৩০ টাকার স্যানিটাইজার ৪০০ টাকায় বিক্রির প্রস্তাব দেয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার আল আমিন স্টোরকে অননুমোদিত ড্রিংক রাখায় ১ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়। কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার জিবিয়া স্টোরকে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখার দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপর। একটি মেয়াদোত্তীর্ণ দই ও কোমল পানীয় রাখায় ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় ২০ কেজি দই ও কোমলপানীয় ধ্বংস করা হয়।
তিনি আরও জানান, চান্দগাঁও থানার হাসান বেকারিকে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিংক রাখায় ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার লন্ডন বেকারিকে উৎপাদিত বেকারি পণ্যে উৎপাদন, মেয়াদ ও খুচরামূল্য না দেওয়ায় ৪ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়। এছাড়া বায়েজিদ থানার ওয়াজেদিয়া চৌরাস্তার কেয়ার মেডিক্যাল হলকে মেয়াদবিহীন কাটা ওষুধ সংরক্ষণ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই থানার নেজামে হাসনা এলাকার ইমরান অ্যান্ড ব্রাদার্সকে মেয়াদবিহীন মোড়কজাত দুধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় তিনি ভোক্তাসাধারণকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে, মাস্ক-গ্লাভস পরতে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি কোনো বিক্রেতা বেশি মূল্যে পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করলে অথবা বিক্রির প্রস্তাব করলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বরে (১৬১২১) অভিযোগ জানাতে বা তথ্য দিতে অনুরোধ করেন তিনি।
পূর্বকোণ/আরপি