চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

শপিংমল, দোকান ও কাঁচা বাজারের সময়সীমা বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি

মরিয়ম জাহান মুন্নী

৩ জুলাই, ২০২০ | ৩:৩০ অপরাহ্ণ

করোনাকালীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা রাখার সময় আরও তিন ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নগরীর সবগুলো শপিংমল, চাক্তাই খাতুনগঞ্জসহ সকল ভোগ্যপণ্যের দোকান ও কাঁচা বাজার খোলার সময় সীমা বেড়েছে আরও তিন ঘণ্টা। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল সবগুলো শপিংমলসহ বিভিন্ন রকম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু লকডাউনের শেষে কিছু দোকানপাট ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান চালু হয়। তবে এটিও একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। এটি সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ছিল। কিন্তু গতকাল থেকে আবার ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে সরকার আরও তিন ঘণ্টা সময় বাড়িয়েছে।
এ বিষয় নগরীর ব্যবসায়ীরা বলেন, এ বছরটিতে আমাদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে চলে গেছে রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতর। এসময়টা সব ব্যবসায়ীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। সারা বছরের যা আয় হয় না তা এ এক মাস ও ঈদ উপলক্ষে আয় হয়ে থাকে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এ বছরের প্রায় পুরোটাই নষ্ট হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমান বেশি হয়েছে পোশাক, জুতাসহ প্রসাধনী ব্যবসায়ীদের। শপিংমলগুলো সারা বছরের বেচা-কেনা করে রমজানের এই এক মাসে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়ে ব্যবসায়ীরা। আবার ভোগ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের তুলনামূলক কম ক্ষতি হয়েছে। কারণ প্রথম থেকে স্বল্প পরিসরে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। তবে এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ভিন্ন মন্তব্য করছেন। তারা বলছেন, অবশ্যই অন্যান্য বছরের চেয়ে বেচাকেনা অর্ধেক নেমেছে।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান বলেন, আগে বিকাল চারটা পর্যন্ত ছিল আর এখন সাতটা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু পরিস্থিতি একই। লকডাউনে দোকান বন্ধ ছিল। আর যখন থেকে দোকানপাঠ খোলার সুযোগ হয়েছে দোকানে কাস্টমার নেই। আয় ইনকাম নেই বললেই চলে। তাই সময় বাড়ালেও আমাদের কোনো উপকারই হয়নি। অনেক ব্যবসায়ীতো দোকান খুলছেনও না। যারা খুলছেন তারা আবার সময়ের আগেই দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন।
চাক্তাই আড়তদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি খালেদ বলেন ,আমাদের এখানে অনেক ব্যবসায়ী আছে যারা এসব নিয়ম দেখে না। তাই বিকেল চারটা আর সাতটা এখানে কোনো বিষয়ই নয়। তবে আমি চাই আমাদের এখানে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নিয়ম মেনে ব্যবসা করুক। তবে ব্যবসা আগের মত জমজমাট নয়। শহরে মানুষ নেই তাই ক্রেতাও নেই। শেরশাহ কলোনীর মুদি ব্যবসায়ী আবুল কাসেম জানান, ব্যবসার সময় তিন ঘণ্টা বাড়িয়ে আমাদের কোন লাভ হয়নি। কারণ ক্রেতা নেই। মানুষের হাতে টাকা নেই। যখন ৪টা পর্যন্ত সময় ছিল তখনো বিক্রি তেমন হত না। সকালের দিকে কিছু বেচাকেনা হয়। এরপর তেমন বিক্রি নেই।  কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার বলেন, আগের ব্যবসা আর এখনের ব্যবসার মধ্যে অনেক তফাৎ। মানুষ থাকলেতো বেচাকেনা। তবে সকালের দিকে মোটামুটি বেচাকেনা হলেও দুপুরের পর থেকে বেচা কেনা প্রায় বন্ধ। তাই সময় বাড়ালেও আমাদের তেমন কোনো উপকার হবে না।
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট