চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম

খেলা নেই, তবুও চলছে পরিচর্যা

২ জুলাই, ২০২০ | ৪:৪৮ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসে ক্ষত বিক্ষত দেশের ক্রীড়াঙ্গন। প্রায় ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে মাঠে কোন খেলা নাই। আপাতত শুরু হওয়ারও কোন সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। তাই বলে মাঠের পরিচর্যা বন্ধ রাখার কোন উপায় নাই। তার উপর সেটা যদি কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু তাহলে তো কথাই নেই। ঠিক সে কারণেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মাঠকে প্রস্তত রাখতেই হচ্ছে। কেননা, পরিচর্যা না করলে মাঠ নষ্ট হয়ে যাবে এবং একবার মাঠ নষ্ট হলে সেটাকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেয়াটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এ কথার সাথে একমত পোষণ করে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ফজলে বারী খান রুবেল বলেন, এই ভেন্যুর প্রধান কিউরেটর ভারতীয় মি. প্রবীণ করোনা’র কারণে তার দেশে রয়েছেন। কিন্তু তিনি যাবার আগে যেভাবে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন ঠিক সেভাবেই কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি কয়েকদিনের মধ্যে কাজে যোগদান করবেন বলে জানা গেছে। এতে কর্মকর্তারা বাসায় বসে থাকলেও কর্মীদের কিন্তু সে সুযোগ নাই। রুবেল আরও বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড থেকে নির্দেশনা রয়েছে মাঠ পরিচর্যার কাজ অব্যাহত রাখার। আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনেই স্টেডিয়ামের ভেতরে থাকা ৮/১০ জন কর্মীদের নিয়ে যতটা পারি কাজ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছি। যারা রয়েছে ওরা পালা করে করে সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে। করোনার কারণে বাইরে থাকা আরও বেশ কিছু কর্মী কাজে যোগ দিতে পারছেন না। অনুমতি মিললে তারাও কাজে যোগ দেবে। তখন উইকেটের কাজে হাত দেয়া হবে। বর্তমানে করা কাজের মধ্যে রয়েছে নিয়মিত পানি দেয়া, ঘাস বড় হতে না দেয়া এবং বেশ কঠিন একটা কাজ হচ্ছে, বাজে ঘাস বেছে বেছে ফেলে দেয়া। এছাড়া এখানকার ড্রেনেজ সিস্টেম সবচেয়ে ভালো বলে মাঠে কোনভাবেই পানি জমে থাকে না। এ কারণে দেখা গেছে বেশ ভাল বৃষ্টি হলেও মাঠ ৩০ থেকে ৪০ মিনিটের মধ্যে খেলার জন্য তৈরি হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত  ১৯টি টেস্ট, ২১টি ওডিআই এবং ৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছে। তার মধ্যে টেস্টে মাত্র ২টি জয় ও ৬টি ড্রয়ের বিপরীতে ১৩টি ম্যাচে হেরেছে। ওডিআইতে ১২টি ম্যাচ জিতে ৭টিতে হার মানে। এছাড়া টি-২০ তে ৩টি ম্যাচে জিতে সমসংখ্যক ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। 
পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট