চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

কিট সংকটে চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা বন্ধের শঙ্কা

ইমাম হোসাইন রাজু

২৭ জুন, ২০২০ | ৬:১৯ অপরাহ্ণ

কিটের ঘাটতি দেখা দেয়ায় করোনার নমুনা পরীক্ষা সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের প্রধান তিনটি ল্যাবেই ইতোমধ্যে ফুরিয়ে এসেছে নমুনার টেস্টিং কিট। এসব ল্যাবে এখন পর্যন্ত যা কিট আছে, তাতে দু-একদিন পরীক্ষা চালানো যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
যদিও কিট সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে চাহিদা পত্র পাঠনো হয়েছে। একই সাথে কিট বুঝে নিতে রবিবার (কাল) প্রতিনিধি পাঠাতে নির্দেশনা দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট ল্যাবগুলোকে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে কিট না পাওয়া গেলে আগামী সোম-মঙ্গলবার থেকে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে আছে বলে জানিয়েছেন ল্যাব সংশ্লিষ্টরা।
শুধু মাত্র চট্টগ্রামেই নয়, কিট সংকট থাকায় বিভাগের নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ল্যাবটিও বন্ধ ছিল গত দুই দিন। যদিও স্বল্পপরিমাণের কিট পাওয়ার পর তা ফের চালু করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিট সমস্যা শুধু চট্টগ্রাম বিভাগেই নয়। পুরো বাংলাদেশের চিত্র এটি। মূলত জটিলতার কারণে কিট আমদানি বন্ধ থাকায় এ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যদিও বিকল্প হিসেবে ছোট ছোট লটে কিট আমদানি করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রামের প্রধান ল্যাব ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল (শুক্রবার) পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সর্বশেষ কিট সংখ্যা ছিল মাত্র ১০০টি। যা দিয়ে আজ (শনিবার) পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। যদিও ল্যাব কর্তৃপক্ষকে রবিবার কিট সংগ্রহ করতে প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয়েছে। তবে এ দিন অন্যত্র থেকে ধারে কিট নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ।
তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ‘কিট শেষ হওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা রবিবার প্রতিনিধি পাঠাতে বলেছেন। তবে ওই দিন কিট না পেলে সোমবার থেকে পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। তাতে সোমবার থেকেই বন্ধ রাখতে হবে পরীক্ষার কাজ’।
একই অবস্থা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ল্যাবেরও। সেখানেও কিট ফুরিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে কর্তৃপক্ষের চাহিদাপত্র পাওয়ার পর শনিবার কিট সংগ্রহ করতে প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয় বলে জানান ল্যাবটির প্রধান এহসানুল হক কাজল। তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ‘শুরু থেকেই কিট সংকটের বিষয়টি লেগে আছে। প্রতি সপ্তাহ কিংবা ১৫দিন অন্তর গিয়ে কিট আনতে হচ্ছে। তবে শনিবার কিটের জন্য লোক পাঠানো হবে’। কিট পেলে তাতে সমস্যা হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যদিকে, পরীক্ষার বড় কেন্দ্র চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবেও কিট রয়েছে মাত্র ২৫০টি। যা দিয়ে দু-একদিন চালিয়ে গেলেও মঙ্গলবারের পর চালানো সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন ল্যাব কর্তৃপক্ষ। তবে এ ল্যাবটিকেও কাল (রবিবার) কিট সংগ্রহ করার জন্য প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ল্যাবটির প্রধান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ সিদ্দিকী।
তিনি পূর্বকোণকে বলেন, ‘এমনিতেই এক কিট দিয়ে দুটো নমুনা পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারমধ্যে কিট সংখ্যাও ফুরিয়ে এসেছে। যদিও রবিবার (কাল) লোক পাঠাতে বলা হয়েছে। কিট পাওয়া গেলে সমস্যা হবে না। তবে না পেলে সমস্যায় পড়তে হবে’। তবুও বিআইটিআইডির সাথে সমন্বয় করে কিট সংগ্রহ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট