চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফলদ ও বনজ নার্সারি করে স্বাবলম্বী বাইশারীর নুরুল আলম
ফলদ ও বনজ নার্সারি করে স্বাবলম্বী বাইশারীর নুরুল আলম

ফলদ ও বনজ নার্সারি করে স্বাবলম্বী বাইশারীর নুরুল আলম

নাইক্ষ্যংছড়ি সংবাদদাতা

২৭ জুন, ২০২০ | ১২:১২ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের তুফান আলী পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. নুরুল আলম ফলদ ও বনজ নার্সারি করে এখন স্বাবলম্বী।

১ একর ২০ শতক জমি বন্দক নিয়ে দীর্ঘ ১৮ বছর আগে থেকে ক্ষুদ্র পরিসরে নার্সারি করা শুরু করে নুরুল আলম। এখন তার নার্সারিতে লাখের উপরে রয়েছে বিভিন্ন জাতের চারা।

শনিবার (২৭ জুন) সকালে সরেজমিনে নার্সারিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে রয়েছে বিভিন্ন রকম ফলদ, বনজ জাতের চারা। নুরুল আলম বলেন এই বৃক্ষই আমার জীবন। আমার ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে এই চারা। বৃক্ষ প্রেমী নুরুল আলম চারা গুলোকে নিজ সন্তানের মত যত্ন করেন।
তার নার্সারিতে ফলদ চারার মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, জাম্বুরা, লেবু, মালটা এবং বনজের মধ্যে রয়েছে আকাশ মনি, ছোট, বড়, মাঝারি সহ তিন প্রকার জাতের , আর ও রয়েছে গর্জন, কড়ই, মেহগনি অর্জন সহ নানা জাতের চারা।
ছোট্ট বেলা থেকে নার্সারী করার অভিজ্ঞতা থেকে সব কিছু নিজের বিবেক বুদ্ধি খাঁটিয়ে এই বিশাল নার্সারি করেছেন তিনি। এতে তিনি এখন সফলতার মুখ দেখেছেন। সংসারে তার এখন আর অভাব অনটন নাই । দশ জনের মত তিনি ও ভাল চলছেন। ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী নিয়ে ৫ জনের ছোট সংসার তার। নিজে লেখা পড়া অল্প করেছেন। তবে ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করার ইচ্ছা রয়েছে তার।

নুরুল আলম জানান, ১ একর ২০ শতক জমি বন্দক নিয়ে তার নার্সারি করার যাত্রা শুরু হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ফলদ, বনজ মিলে লক্ষাধিক চারার নার্সারি করেছে। সর্বমোট মজুরী সহ খরচ হয়েছে ৩ লাখ টাকার মতন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর চারা বিক্রি করে ৫ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ আঠারো বছর নার্সারি করে আসছেন তিনি। কিন্ত সরকারী ভাবে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা তিনি পাননি।
সব কিছু স্থানীয় বাজার থেকে সার, কীটনাশক ক্রয় করে তিনি নিজেই প্রয়োগ করেন।
তবে এ বছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষি অফিসারগণ তার নার্সারি পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি।
নুরুল আলমের নার্সারির পাশাপাশি রয়েছে পানের বরজ, কলা বাগান। সব কিছু মিলিয়ে তিনি আসলে কর্মঠ একজন মানুষ ও সফল ব্যবসায়ী। তিনি তার নার্সারি হতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জাতের চারা প্রতি বছর ফ্রি অনুদানও দিয়ে থাকেন বলে জানান । তাছাড়া নুরুল আলম বর্তমানে তুফান আলী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য । বিগত নির্বাচনে সে বিপুল ভোটে ১ নং অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হয়েছে ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, নুরুল আলমের নার্সারি থেকে ভাল জাতের চারা ক্রয় করে সফল হয়েছি। ৩ বছরেই ফলন ধরা শুরু হয়েছে ।

এ বিষয়ে বাইশারীর দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. রফিকুল আলম বলেন, তার নার্সারি পরিদর্শন করা হয়েছে। আগামীতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা সহ সুযোগ সুবিধার আওতায় আনা হবে।

পূর্বকোণ/শামীম-এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট