চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চিকিৎসা ও ওষুধ বিপণনে জড়িত অসাধু ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করুন : ক্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুন, ২০২০ | ১০:০৩ অপরাহ্ণ

চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিপণনে জড়িত অসাধু ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধে দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। আজ বুধবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।

ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য সেবা ও ওষুধ বিপণনে জড়িত গুটিকয়েক অসাধু ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পৃষ্টপাষোকতা, ছত্রছায়া ও মদদের কারনে আজ বেহাল দশা। সরকারি-বেসরকারী হাসপাতালে রোগী ভর্তি নাই, চিকিৎসক-নার্স নাই, ফামের্সীতে ওষুধ নাই, অক্সিজেন এর দোকানে সিলিন্ডার নাই। সর্বত্র হাহাকার আর শ্বাস নেবার দাবি। আর এ সমস্ত অপকর্মকারীরা ক্ষমতাসীন দলের কিছু রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় তাদেরকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে জনগনকে জিম্মি করে জনগনের পকেট কাটছে। আর সেকারনে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী করোনাকালীন সময়ে সরকারী-বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে নির্দেশনা দিলেও রোগী ভর্তি না করিয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সারি দীর্ঘ করেছেন। কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা সকাল-সন্ধ্যা করোনায় জনদূর্ভোগ না বাড়ানো, চিকিৎসা, ত্রাণ ও অন্যান্য সেবা নিশ্চিতের জন্য বিরতীহীন ভাবে কাজ করলেও একশ্রেণীর নেতাদের মদদে কিছু লোক নানা অপকর্মে জড়িত। সেকারনে একজন চিকিৎসক নেতা ছাত্রলীগের আর একজন নেতাকে প্রকাশ্যে লাশ ফেলার হুমকি প্রদান করছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করোনা সংক্রান্ত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, অক্সিজেন সিলিন্ডার এখন সোনার হরিন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন বিষয়গুলি জানার পরও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হচ্ছে না। বেসরকারী ক্লিনিকে রোগী ভর্তি না করানো ও হাজারী লেনে ওষুধের পাইকারী দোকানে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত একবার অভিযান পরিচালনা করলেও পরবর্তীতে আর অভিযান করতে পারেনি। চিকিৎসার এই বেহাল দশা ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) এর নেতৃত্বে বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড ও নন কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসা নিশ্চিতে সার্ভিল্যান্স টিম জন্মতেই মৃত। আজ পর্যন্ত কোন কার্যক্রম দেখাতে পারে নি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষ চালুকৃত হটলাইন সেবার অবস্থাও একই। বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন করোনামহামারী যুদ্ধে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িতরাই মূল ভূমিকা পালন করে জাতিকে এই ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করা করার নেতৃত্ব প্রদান করে আসছে। কিন্তু মাঝে মধ্যে গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ী ও চিকিৎসা পেশার সাথে জড়িতদের হঠকারী সিদ্ধান্তের কারনে করোনামহামারীতে জীবন বাঁচানো চিকিৎসক সমাজের ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন।

পূর্বকোণ / আর আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট