চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চবিতে নির্মাণকাজে ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির ঘটনা ভিত্তিহীন

চবি সংবাদদাতা

২৪ জুন, ২০২০ | ৭:২৪ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মেরিন সায়েন্স অনুষদ ভবনে নির্মাণ কাজে গত ২২ জুন ছাত্রলীগের ভাঙচুর ও শ্রমিকদের মারধরের ঘটনাকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। একই সাথে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানান তারা।

আজ বুধবার (২৪ জুন) দুপুরে প্রক্টরের সাথে সাক্ষাৎ শেষে উপাচার্য বরাবর এক প্রতিবাদ লিপিতে তারা এসব কথা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্যাডে সাবেক পাঁচ নেতাসহ সভাপতি মনসুর আলম, আবদুল মালেক, আল আমিন রিমন, সুমন নাছির ও ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, তারা গত ২৩ শে জুন রেজিস্ট্রার দপ্তর ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, তাদের বিরুদ্ধে সমুদ্র বিজ্ঞান ভবনে নির্মাণ কাজে বাধা, ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অপপ্রচার।

এ ঘটনায় ভাঙচুরের কোন ভিডিও নেই দাবি করে তারা বলেন, মূলত তারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে শ্রমিকদের আনা নেয়া, সন্ধ্যার পর বহিরাগতদের জুয়ার আড্ডা ও মাদকের আসর বন্ধের জোর দাবি জানালে সেই ভিডিও ফুটেজ প্রচার করে তাদের সম্মানহানি ও অপপ্রচার করা হচ্ছে। একই সাথে অভিযোগকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নাঈম উল ইসলাম কে ছাত্রলীগ বিদ্বেষী, মৌলবাদী ও দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হিসেবেও আখ্যা দেন তারা।

এদিকে বর্তমানে শাখা ছাত্রলীগের কোন পদে আসীন না থেকেও সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর ব্যাতীত অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যা নিয়মবহির্ভূত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘ তারা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হয়তো সে কারণে দিতে পারে। যদিও আমি তা এখনো দেখেনি।’ এমনটি দেয়ার এখতিয়ার তাদের আছে কি না-প্রশ্নে তিনি জানান, ‘আমার জানা মতে হয়তো দেয়ার নিয়ম নেই। তারপরেও বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি৷’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা একটি প্রতিবাদ লিপি দিয়েছে। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে যাচাই করা হবে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট