চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনাযুদ্ধে জয়ী হয়েই আবার নমুনা সংগ্রহের কাজে নামলেন তাপস

রাঙ্গুনিয়া সংবাদদাতা

২০ জুন, ২০২০ | ৮:০২ অপরাহ্ণ

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) তাপস চন্দ্র বণিক। করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই রাঙ্গামাটি জেলার পর্যটন উপশহরখ্যাত কাপ্তাইয়ে করোনার উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করে আসছেন। নমুনা সংগ্রহ করতে করতে নিজেও করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তারপর আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১৭ জুন  তৃতীয় দফায় নমুনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় করোনা জয়ী তাপস ফের সামিল হয়েছেন করোনাযুদ্ধে। আবারো নমুনা সংগ্রহে নেমেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের।

কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) রয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে তাপস চন্দ্র বণিক একজন। করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই কাপ্তাইয়ে তারা তিনজনই নমুনা সংগ্রহ করতে রাতদিন পরিশ্রম করে চলেছেন। গত ২৭ মে তাপস চন্দ্র বণিকের নমুনা পাঠানোর পর চট্টগ্রাম হতে আসা ২ জুনের রিপোর্টে তার করোনা পজেটিভ আসে। মৃদু উপর্সগ থাকায় রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজারের নিজ বাসায় তিনি হোম আইসোলেশনে চলে যান; শুরু হয় জীবনের নতুন যুদ্ধ। তবে ১৭ জুনের তৃতীয় দফার রিপোর্টও নেগেটিভ আসে তার।

তাপস চন্দ্র বণিক জানান, ২ জুন করোনা পজেটিভ আসার পর তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পরামর্শে বাসায় নিজেকে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা নেন। তবে তার হালকা জ্বর ছাড়া অন্য কোন উপসর্গ ছিল না। তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রেখে ডাক্তারের পরামর্শে প্রতিদিন ৪ বার গরম পানির ভাপ নিয়েছেন, লবণ পানি দিয়ে গার্গল করেছেন। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বেশ কিছু ওষুধ খেয়েছেন। কখনোই মনোবল হারাননি। গত ৮ জুন তিনি দ্বিতীয় দফায় নমুনা দেন, তা ১৩ জুন নেগেটিভ আসে। পরে আবার ১৪ জুন তৃতীয় দফায় নমুনা দেন যা ১৭ জুন নেগেটিভ আসে এবং জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় তাকে সুস্থ ঘোষণা করে। সুস্থ হওয়ার পর তিনি ১৮ জুন আবারও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজে যোগদান করেন।

কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ আহমেদ চৌধুরী শনিবার (২০ জুন) তাপসের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) কাজ করেন। তার মধ্যে তাপস চন্দ্র বণিকের পোস্টিং হয় কাপ্তাই লগগেট ১০ শয্যা হাসপাতালে। করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় তাপসকে উপজেলা সদর হাসপাতালে এনে কাজ করাতে হচ্ছে। তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

পূর্বকোণ / আর আর  – জিগার

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট