নগরীর ইপিজেড ও বন্দর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ তিন ফার্মেসি মালিককে আটক করেছে র্যাব। করোনার প্রাদুর্ভাবের সুযোগে প্রয়োজনীয় ওষুধ অবৈধভাবে মজুদ করে নিয়মিত দামের চেয়ে ১০ গুণ বেশি দামে বিক্রি করার দায়ে তাদের আটক করা হয়। আজ শুক্রবার (৫ জুন) এ অভিযান পরিচালিত হয়।
আটককৃতরা হলেন- আর সি ড্রাগ হাউজের মালিক মো. শাহজাহান (৬০), মেসার্স গাউছিয়া ফার্মেসির মালিক মো. আক্তার হোসেন (৪৯) ও মেসার্স মাসুদা মেডিসিন শপের মালিক মো. রবিউল আলম (৩৩)। তাদের বিরুদ্ধে ইপিজেড ও বন্দর থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, অবৈধভাবে মজুদ করে নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইপিজেড ও বন্দর থানাধীন এলাকায় ৩ ফার্মেসি মালিককে আটক করা হয়েছে। আর সি ড্রাগ হাউজে ৭৫০ টাকার আইভেরা ২ হাজার ৪শ’ টাকা করে ৬ মিলিগ্রাম নামের একটি ওষুধ ৬ প্যাকেট বিক্রি করছিল। মেসার্স গাউছিয়া ফার্মেসিতে ৫০ টাকার স্ক্যাবো ৬ মিলিগ্রাম নামের একটি ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছিল ৫০০ টাকায়, ২৫ টাকার জিঙ্ক ২০০ মিলিগ্রাম নামের একটি ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছিল ৫০ টাকা করে এবং ২০ টাকার সিভিট ২৫০ মিলিগ্রাম নামের একটি ওষুধ প্রতি পাতা বিক্রি করছিল ৫০ টাকা। মেসার্স মাসুদা মেডিসিন শপে ৩৬০ টাকার রিকোনিল ২০০ মিলিগ্রাম নামে একটি ওষুধ প্রতি প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছিল, ৪৮০ টাকার মোনাস ১০ মিলিগ্রাম নামের ওষুধের প্রতি প্যাকেট (২ পাতা) বিক্রি করছিল ১ হাজার ৫০ টাকা ও ৩১৫ টাকার অ্যাজিথ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম নামের একটি ওষুধের প্রতি প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছিল ৬০০ টাকা। তাদের বিরুদ্ধে ইপিজেড ও বন্দর থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব আরও জানায়, অবৈধভাবে ওষুধ মজুদদারি ও অতিরিক্ত দামে ওষুধ বিক্রি করা ফার্মেসির বিরুদ্ধে র্যাবের এ ধরনের সামনেও অব্যাহত থাকবে।
পূর্বকোণ/আরপি