চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

এক্সেস রোডে হচ্ছে চসিকের ২৫০ শয্যার আইসোলেশন হাসপাতাল

ইফতেখারুল ইসলাম

৩ জুন, ২০২০ | ৭:৫৯ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) তৈরি করছে ২৫০ শয্যার আইসোলেশন হাসপাতাল। নগরীর এক্সেস রোড এলাকার সিটি হল কমিউনিটি সেন্টারকে আইসোলেশন হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল মঙ্গলবার থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সরাসরি হাসপাতালটি পরিচালনা করবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের এখানে আইসোলেশনে রাখা হবে। তবে গুরুতর রোগীদেরকে বিশেষায়িত হাসপাতালে রেফার করা হবে।
জানতে চাইলে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন পূর্বকোণকে বলেন, চট্টগ্রামের করোনা রোগীদের জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে এবং সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এই আইসোলেশন হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, এটা বৈশ্বিক মহামারী চলছে। এই মহামারী মোকাবেলায় সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। দিন দশেকের মধ্যে হাসপাতালটি চালু করার চেষ্টা চলছে।
চসিক সূত্র জানায়, গত সোমবার নগরীতে আইসোলেশন সেন্টার গড়া নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ওই বৈঠকে এক্সেস রোড এলাকার দ্বিতল বিশিষ্ট সিটি হল কমিউনিটি সেন্টারকে আইসোলেশন হাসপাতাল করার সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার ২৫০ বেডের জন্য শয্যা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইন স্ট্যান্ড, হ্যান্ড গ্ল্যাবস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, স্যাভলন, ডিজিটাল থার্মোমিটার, ফিংগার পাল্স অক্সিমিটার, অক্সিজেন মাস্ক, মশারিসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চসিকের নিজস্ব অর্থায়ন ও স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে এটি পরিচালিত হবে।
চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ২৫০ শয্যার আইসোলেশন হাসপাতাল করা হচ্ছে। গত সোমবার সিদ্ধান্তের পর পরই প্রকৌশল বিভাগকে প্রয়োজনীয় উপকরণের তালিকা দেয়া হয়েছে। প্রকৌশল বিভাগ গতকাল থেকেই কাজ শুরু করেছে।’
প্রকৌশল বিভাগ জানায়, গতকালই ২৫০ বেডের জন্য শয্যা, মশারি, অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইন স্ট্যান্ড, হ্যান্ড গøাবস, ডিজিটাল থার্মমিটারসহ প্রয়োজনীয় জিনিস প্রস্তুতের অর্ডার ও ক্রয় করা হয়েছে। এটি প্রস্তুতে প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন।
জানা যায়, একক সংস্থা হিসাবে চসিকেরই আছে নগরজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক অবকাঠামো। ৪১ ওয়ার্ডে আছে ৪১টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র। আছে ১০০ শয্যার চসিক জেনারেল হাসপাতাল। আছে ১০০ শয্যার একটি চসিক মাতৃসদনসহ পৃথক তিনটি মাতৃসদন হাসপাতাল। এ সব অবকাঠামোর মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম ব্যবহার এমন কেন্দ্রে নমুনা সংগ্রহ এবং আইসোলেশন কেন্দ্র করারও সুযোগ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

পূর্বকোণ/আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট