চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পটিয়ায় এক মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন
পটিয়ায় এক মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

পটিয়ায় এক মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

নিজস্ব সংবাদদাতা ,পটিয়া

৩ জুন, ২০২০ | ৪:০১ অপরাহ্ণ

পটিয়ায় হত্যা করে লাশ গোপনে দাফন করার একমাস পর কবর থেকে   মুর্শিদা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ আজ বুধবার (৩ জুন) সকালে উত্তোলন করা হয়েছে। পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিষ্ট্রেট ইনামুল হাসান আদালতের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করেন। 

এসময় থানা পুলিশ, আশিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. হেলাল ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী মো. রফিক (৪০), পাশ্ববর্তী মো. মফজল (৫৫) ও মফজলের স্ত্রী  শাহীন আকতারকে (৩৫) আটক করা হয়  এর আগে গৃহবধূ মুর্শিদাকে হত্যা করে লাশ গোপনে দাফন করার অভিযোগ ওঠে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  জন্মসূত্রে রফিক রোহিঙ্গা নাগরিক। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার দক্ষিণ আশিয়া ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মফজল আহমদ মাস্টারের পরিবারে থাকবেন। রফিক মফজল মাস্টারের পালকপুত্র ছিল। একই  উপজেলার আশিয়া গ্রামের আবদুস ছালামের কন্যার সঙ্গে ১ বছর আগে মো. রফিকের বিয়ে হয়।  বিয়ের কিছুদিন পর তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। এর জের ধরে মুর্শিদাকে গত ২৫ এপ্রিল গলাটিপে হত্যা করে লাশ গোপনে দাফন করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। গোপনে দাফন করার খবর পেয়ে মুর্শিদার পরিবার শ্বশুড় বাড়িতে যান। পরে মুর্শিদার বিয়ের স্বর্ণ খোঁজ করলে পার্শ্ববর্তী মো. মফজলের স্ত্রী ঘটনা বর্ণনা করেন এবং ঘর থেকে স্বর্ণ বের করে দেন। ৫ দিন পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীসহ তিনজনকে আটক করেন। পরবর্তীতে গৃহবধূর বোন খুরশিদা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন  করা হয়।

পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানিয়েছেন, গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ গোপনে দাফনের অভিযোগে আদালতের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে। এর আগে পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

পূর্বকোণ/ এএ 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট