চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়িতে এক শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত
নাইক্ষ্যংছড়িতে এক শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত

নাইক্ষ্যংছড়িতে এক শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

৩১ মে, ২০২০ | ৫:৫৯ অপরাহ্ণ

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর উপজেলায় এক প্রাথমিক শিক্ষকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। শিক্ষকের নাম মো.ইউনুছ (৫৬)। তিনি আর্দশগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।

এদিকে সাহাবুদ্দীন নামে ৩৮ বছর বয়সী এক  যুবকের করোনার লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে কক্সবাজার ল্যাবে। তাকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

গতকাল (৩০ মে)প্রাথমিক ভাবে বিষয়টি ফোনে নিশ্চিত হলেও ৩১ মে দুপুর সাড়ে ৪টায় রিপোর্টের ভিত্তিতে নমুনা ফলাফল পজেটিভ বলে নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আবু জাফর মো.ছলিম। 

তিনি বলেন, গত ২৫ মে শারিরীক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন করোনা শনাক্ত হওয়া ওই শিক্ষক। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের  ল্যাবে পাঠানো হয়। সেই পাঠানো নমুনা পরীক্ষায় ৩০ মে রাত সাড়ে ৯টায় প্রাথমিক ভাবে ফোনে খোঁজ নিতে গিয়ে ফলাফল পজেটিভ জানতে পারলেও আজ ৩১ মে রবিবার ল্যাব থেকে পূনরায় পজেটিভের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় রিপোর্টের ভিত্তিতে।

তবে শিক্ষকের পরিবারসহ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরকে নমুনা সংগ্রহ করার সোয়াব স্টিক সঙ্কট হওয়াতে নমুনা সংগ্রহ করতে পারছেনা।

আর এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানান, মো.শাহাবুদ্দীন নামে ৩৮ বছর বয়সী এক যুবকের উপসর্গ দেখা দেয়াতে তারও নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তবে তার রিপোর্ট এখনো আসেনি।

এ হাসপাতালে ২৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার ল্যাবে পাঠানো হলেও নমুনা টেস্টের রিপোর্টে ফলাফল আসে ২১৯ জনের। বাকী ২৯ জনের রিপোর্ট এখনো আসেনি।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সহকারি শিক্ষক একজন হার্ট সার্জারি রোগী। গেলো ২৫ রমজানে শারিরীক অসুস্থতা দেখা দিলে ঢাকায় চিকিৎসা নেয়ার জন্য আগে থেকেই করোনা টেস্ট করে রিপোর্ট নিয়ে যাওয়ার জন্য স্থানীয় সদর হাসপাতালে নমুনা দেয় সহকারি শিক্ষক মো.ইউনুছ।

সেই নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট পজেটিভ আসাতে এলাকার মানুষের মাঝে ভয় ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।

শিক্ষক মো. ইউনুছের ছোট ছেলে মুমিনুল আলমের সাথে ফোনে কথা বলে জানাযায় ,সহকারি শিক্ষক মো. ইউনুছ পুরো রমজান মাসে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘরে নামাজ পড়তেন। মাঝে মধ্য পুরাতন স্টেশনের সড়কে ১৫/২০মিনিট চলাফেরা করতেন। তবে রিপোর্ট পজেটিভ আসার পর আমাদের মাঝে সন্দেহ জেগেছে বাড়ীর পাশে পুরাতন স্টেশনে তামাক গোডাউন।

তামাক মৌসুমে বাইনকোর্ট করে বিভিন্ন চাষি থেকে তামাক ক্রয় করতেন কোম্পানীরা। সেই ক্রয়কৃত তামাক নিয়ে যেতো বড় বড় গাড়ী দিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে। মূলত গাড়ীর ড্রাইভার ছিলো ঢাকা চট্টগ্রামের। সেখান থেকে সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন কচি সংবাদকে জানান, করোনা মোকাবিলায় শনাক্ত হওয়া ওই শিক্ষকের বাড়ি সংলগ্ন ১০টি বাড়ি গত রাতেই লকডাউন করা হয়।

এদিকে, রোগীর উপসর্গ ধীরে ধীরে কমে যাওয়াতে হোম কোয়ারেন্টেইনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

পূর্বকোণ/ শামীম- এএ 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট