চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হালদায় রেকর্ডসংখ্যক ডিমের পর বেড়েছে রেণুর চাহিদাও
হালদায় রেকর্ডসংখ্যক ডিমের পর বেড়েছে রেণুর চাহিদাও

খুশি ডিম সংগ্রহকারীরা

হালদায় রেকর্ডসংখ্যক ডিমের পর বেড়েছে রেণুর চাহিদাও

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ মে, ২০২০ | ৫:১২ অপরাহ্ণ

এবার হালদায় রেকর্ডসংখ্যক  ডিম পাওয়ার পর বেড়ে গেছে রেণুর চাহিদাও। আজ শনিবার (৩০ মে)  অনেকে রেণু কেনার জন্য এসে খালি হাতে ফিরে গেছে। আগের দিন শুক্রবার বিক্রি হয়ে যাওয়ায় রেণু পায়নি।

ঈদের দিন ২৫ মে থেকে রেণু বিক্রি শুরুর পর তা গত ৩০ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তাতে দামও ছিল প্রচুর। কেজি প্রতি সর্বনিম্ন ৪০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার পর্যন্ত রেণু বিক্রি হয়। এতে খুশি ডিম সংগ্রহকারীরা।
রাউজানের কাগতিয়া আজিমেরঘাট এলাকার বাসিন্দা ও হালদার ডিম সংগ্রহকারী রোসাঙ্গীর আলম বলেন, এ বছর তিনি ৫ কেজি রেণু বিক্রি করেছেন। তাতে দামও ভাল পেয়েছেন। প্রতি কেজি তিনি ৬০ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছেন। রোসাঙ্গীর আলমের মতো একই কথা বলেছেন একই উপজেলার অংকুরীঘোনা গ্রামের বাসিন্দা উদয়ন বড়ুয়া।

 তিনি বলেন, এবার তিনি তিন কেজি ১৫০ গ্রাম রেণু বিক্রি করেছেন। অবশিষ্ট এক কেজি ৫০০ গ্রাম রেণু নিজের পুকুরে ফেলেছেন। রেণু বিক্রিতে দাম ভাল পাওয়ায় তিনি খুশি, বলেন উদয়ন বড়ুয়া।  

হাটহাজারীর গড়দুয়ারা গ্রামের কামাল উদ্দিন সওদাগর বলেন, এবার তিনি আড়াই কেজি রেণু বিক্রি করেছেন এবং দেড় কেজি রেণু নিজের পুকুরে পোনা তৈরির জন্য ফেলেছেন। প্রতি কেজি রেণু তিনি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে বিক্রি করেন। এতে তারা খুশি।
কামাল উদ্দিন সওদাগর আরো বলেন, শনিবার অনেকে এসেছিলেন। ভাল দাম দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু রেণু বিক্রি শেষ হয়ে যাওয়ায় দিতে পারিনি।’

প্রসঙ্গত, গত ২২ মে হালদায় রুই জাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ) মাছ ডিম দেয়। এ বছর রের্কড পরিমাণ ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি ডিম পায় আহরণকারীরা। এর আগে ২০১৯ সালে পায় প্রায় ৭ হাজার কেজি ডিম। ২০১৮ সালে পায় প্রায় ২২ হাজার ৬৮০ কেজি ডিম। এর আগে ২০০৬ সালে হালদা থেকে রেকর্ড পরিমাণ ৩২ হাজার ৭২৪ কেজি ডিম আহরণ করা হয়।

হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ‘হালদায় এবার রেকর্ড পরিমাণ ডিম পাওয়ার বিক্রিও ভাল হয়েছে। ২৯ মে হালদার রেণু বিক্রি প্রায় শেষ হয়ে যায়। এবার রেণুর দামও ভাল পায় আহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের একমাত্র জোয়ার-ভাটা নদী হালদা যেখান থেকে সরাসরি রুই জাতীয় মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে পূর্ণিমায় প্রবল বর্ষণ আর মেঘের গর্জনের পর পাহাড়ি ঢল নামলে হালদা নদীতে রুই জাতীয় মাছ স্মরণাতীত কাল থেকে ডিম ছেড়ে আসছে।

পূর্বকোণ/ মোহাম্মদ আলী- এএ 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট