চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

রোহিঙ্গা পাড়ায় নিষ্প্রাণ ঈদ

মুনিয়া মুন

২৭ মে, ২০২০ | ১০:০৮ অপরাহ্ণ

কোভিড-১৯ এর কারণে এবারের ঈদ সবার কাছে একটু ভিন্নতা পেয়েছে! অন্যান্য বারের মতো শপিং করার ধুম নেই! আমি এই প্রথমবার পরিবার, আত্নীয়,বন্ধু-বান্ধব ছাড়া ঈদ করলাম কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায়।গত ঈদে আমার সিনিয়র তাহরিমা আপুর দেয়া ড্রেসটা এবারও গায়ে জড়িয়ে নিলাম!

আমাদের লিডার নিগার আপু, তাহরিমা আপু, আব্দুস সালাম ভাই, খালেদ মোর্শেদ ভাই এবং শুভাকাঙ্ক্ষী আরো কলিগবৃন্দ, আব্বা-আম্মা পরিবারের সদস্যগণ, আত্নীয়, বন্ধুদের ফোন আর ম্যাসেজ পেয়ে মনেই হয়নি একা আছি। কারণ প্রিয় কলিগবৃন্দ, প্রতিবেশী, আর যে মানুষদের সাইকো সোশ্যাল সাপোর্ট দিতে কাজ করছি অর্থাৎ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, তাদের আন্তরিক আচরণে মুগ্ধ। মিয়ানমার থেকে আসা মানসিক বিপর্যস্ত এই মানুষগুলো কোভিড-১৯ বিষয়ে সচেতন থাকার চেষ্টা করছে, আমরাও তাদের বার বার সতর্ক করছি।

যাই হোক, ঈদ উৎসব আনন্দ তাদের মাঝেও যথেষ্ট দেখা গেছে! তবে আমাদের মতো তারাও এবার কিছুটা নিষ্প্রাণ ছিলো! ঈদের সকালে পুরুষদের ক্যাম্প মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া, নারী-শিশুকন্যারা হাতে মেহেদী লাগানো, সাজগোজ করে ঘরে ঘরে বেড়াতে যাওয়া, সবার ঘরে মিষ্টি ঝাল রান্না করা! প্রায় ঘরে তৈরি হয়েছে গরুর মাংস, রুটি। ক্যাম্পে ঘরগুলোর সামনে বড় মাঠ থাকলে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য খেলার আয়োজন থাকে! তবে এবার কোভিড-১৯ এর কারণে সব কিছুর সীমাবদ্ধতা ছিল। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চেকপোস্টগুলোর দায়িত্বে বরাবরই কঠোর ছিল! তাই নিজ ঘরে ঘরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অল্পের মধ্যেও ঈদ আনন্দে মেতেছিল। আমরাও একরকম কাটিয়ে দিলাম ঈদ উৎসব।

যে যেখানে থাকুক নিরাপদে থাকুক, সুস্থ থাকুক।

 

লেখক: সাইকো সোশ্যাল সাপোর্ট কাউন্সিলর, এসজিবিভি প্রোটেকশন, ব্র্যাক, কক্সবাজার

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট