বন্ধ দোকানের ভেতর থেকে আসছে শিশুর কান্নার আওয়াজ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা কান্নার আওয়াজের দিকে এগিয়ে গেলেন। নিজেই শার্টার টেনে বন্ধ দোকানটি খুললেন। দোকানের ভেতর দেখতে পেলেন মায়ের কোলে এক শিশুসহ তিন চারজন দোকানের বিক্রয়কর্মী ও ঘর্মাক্ত মালিক । প্রচন্ড গরমে অন্ধকারে কোন রকম স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই ক্রেতাকে ভিতরে রেখে লোক দেখানো বন্ধ দোকানে বেচাবিক্রি চলছিল মোবাইলের দোকানে। শেষে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে দোকান খোলা রাখায় দোকানের মালিককে গুনতে হল ১০ হাজার টাকা জরিমানা। ঘটনাটি আজ সোমবার (১৮ মে) দুপুর একটায় পটিয়া পৌর সদরের ছবুর রোড ও স্টেশন রোডের ত্রিমোহনীর মোড়ের।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা জানান, ‘এ সময় ক্রেতাকে কেন ঘর থেকে বের হয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘দোকান খোলা দেখে এমনিই ঢুকেছেন’; অপর মহিলা ক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন যে, ‘হেডফোন কিনতে এসেছেন তিনি’। স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বিনা প্রয়োজনে ঘুরে বেড়ানোর দায়ে ওই ক্রেতাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ‘শার্টার বন্ধ করা দোকানটির ভেতরে বাচ্চাটি গরমে কান্না করছে, তাদের একটু অসেচতনায় বাচ্চাটি স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। স্বাস্থ্য বিধি না মানায় দোকানের মালিককে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পূর্বকোণ/আরআর-হারুন