চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বোয়ালখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নাছির হত্যা মামলার মূল আসামি চইল্যা নিহত

বোয়ালখালী সংবাদদাতা

১৭ মে, ২০২০ | ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের বড়ুয়াপাড়া সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে শওকত হোসেন চইল্যা (৪৫) নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি আবদুল করিম।

শনিবার (১৬ মে) দিবাগত রাতে অস্ত্র উদ্ধার করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা আলী মদন’র ছেলে মোহাম্মদ নাছির (৪০) হত্যার প্রধান আসামী নিহত শওকত হোসেন চইল্যা। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ বিভিন্ন আইনে একাদিক মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশ। এসময় বোয়ালখালী থানার ওসিসহ ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন থানাসূত্র।

গত শুক্রবার (১৫ মে) রাত ১১টায় বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব চরণদ্বীপ খলিল তালুকদারের বাড়িতে মোহাম্মদ নাছির (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে একাধিক মামলার আসামী শওকত হোসেন প্রকাশ চইল্যা ও তার ছোট ভাই জসীম উদ্দিনসহ সন্ত্রাসী গ্রুপ। এ সময় তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আলী মদনকেও গুলি করা হয় ও ছোট ভাই লোকমান হোসেনকে ঘরে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক অত্যাচার করে গুরুতর আহত করেন। এঘটনায় পুলিশ জসিম উদ্দিন ও শওকত হোসেনকে একই রাত ২টার দিকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ওইসময় তাদের ঘরে তল্লাশী চালিয়ে একটি পিস্তল, দুইটি এলজি, ৫ রাউন্ড গুলি, ৪টি কার্তুজ, ছুরি, চাপাতি ও দা উদ্ধার করে। এই ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এস আই) সুমন কুমার দে বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে এবং নিহত নাছিরের ভাই জয়নাল প্রকাশ জনি বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

কিভাবে বন্দুকযুদ্ধ :

বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলা ও তার ছেলেকে গুলি করে হত্যা বিষয়টি জানার পর বোয়ালখালী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম পুলিশ সপার রশিদুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সার্কেল জাহাঙ্গীর আলম ও বোয়ালখালী থানার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল করিম। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার এবং আটকৃতদের আরো অস্ত্র থাকতে পারে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে স্বীকারোক্তি নেওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সন্ত্রাসী শওকত হোসেন প্রকাশ চইল্ল্যা আরো অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করেন। রবিবার দিবাগত রাতে অতিরক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গগীর আলমের নেতৃত্বে, বোয়ালখালী থানার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল করীম, এস আই সুমন কুমার দে, এস আই আরিফ, এস আই কুদ্দুছ সঙ্গীয়ফোর্সসহ সন্ত্রাসী সওকত হোসেন ওরপে চইল্ল্যাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে যাওয়ার পথে উপজেলার চরণদ্বীপ বড়ুয়াপাড়া বালুরঘাট এলাকায় সন্ত্রাসী শওকত হোসেন প্রকাশ চইল্ল্যার বাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সন্ত্রাসী শওকত হোসেন চইল্যাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে পুলিশ। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ১০টি কার্তুজের খোসা একটি রামদা ,একটি ছাকু উদ্ধার করা হয়। আশেপাশে এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ নাছির হত্যায় জড়িত নাছির উদ্দিন নামে আরো একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট