চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

এসেছে মধুমাস, বাজারে ফলের সরবরাহ কম

মরিয়ম জাহান মুন্নী

১৫ মে, ২০২০ | ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

বৈশাখ শেষে দুয়ারে এসেছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। আজ শুরু হচ্ছে জ্যৈষ্ঠ। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের বিভিন্ন ফলের দোকানগুলো থরে থরে সাজানো রসালো ফল লিচু, আম, কাঁঠাল, তরমুজ, পেঁপে ও কলায়। বাংলা সনের এ মাসটি সবার কাছে মধুমাস হিসেবে অতি পরিচিত। এরইমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসে ভরপুর, সুমিষ্ট ও সুস্বাদু নানা ফল। রসালো-শাঁসালো এসব ফলের ঘ্রাণে ম ম করে চারদিক। বছরের এ সময়টাতে নানারকম ফলের ঘ্রাণে জিভ সামলানো দায়। প্রকৃতির তাপদাহে হাঁস-ফাঁস অবস্থার মাঝেও সন্ধ্যা বা রাতে বাড়ি ফেরার পথে পরিবারের গৃহকর্তা ঠিকই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব বাহারি মৌসুমী ফল। তবে এখনো পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষ চড়া দাম হওয়ায় এসব ফল কিনতে পারছেন না। আবার বর্তমানে দেশে করোনা সংকটের কারণে অনেকে এবারের মধুমাসে ফলের স্বাদও নিতে পারছে না বলেও জানা যায়। বাজারের অলি-গলিতে এখন নানা ফলের সমাহার। তবে বলতে হয় অন্যান্য বছরের মত এবারের মধুমাসে বাজার সেইভাবে সেজে উঠেনি। গতকাল সরেজমিনে নগরীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছু কিছু দোকান ও ভ্যানে আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তরমুজ ও বাকি বিক্রি করা হচ্ছে। আবার করোনার কারণে দেশে এখনো দূরপাল্লার গাড়ি সীমিত আকারে চলাচল করছে না। এতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শহরে ফল কম আসছে। যার কারণে এসব ফল এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আবার কিছু ফল রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ বিভিন্ন্ জায়গা থেকে আসলেও বাজারে বিক্রেতার অভাব। এছাড়া বাজারে আগের মত ক্রেতাও নেই বলে জানান রিয়াজউদ্দিন বাজারের ফল বিক্রেতারা। তাই অন্যান্য বছরের চাইতে অর্ধেকেরও কম বিক্রি হচ্ছে ফল। এতে সিজনাল ব্যবসায়ীরা ব্যবসায় অনেক লোকসান গুনছে। স্টেশন রোডের পাইকারি ফল বিক্রেতা সৈয়দ আবুল কাশেম বলেন, এবারে করোনাভাইরাসের কারণে আমাদেরা ব্যবসা লাটে উঠেছে। প্রায় প্রতিদিনই লোকসান হচ্ছে। শহরে ফল কম আসছে আবার সেই ফল থেকেও বিক্রি হচ্ছে না। আড়তে অনেক ফল নষ্ট হচ্ছে। আর এখন খুচরা বিক্রেতাও কম। অন্যান্য বছর বৈশাখ মাস থেকে ব্যবসা জমজমাট হতো। এ বছর তার উল্টো। আমরা পাইকারিতে কাঁঠাল, আম, আনারস, লিচু ও তরমুজ শত হিসেবে বিক্রি করি। এখন বাজারে ফলের আমদানি কম হওয়ায় দামও বেশি। আমরা একটি কাঁঠাল ১শ’ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি করছি। আনারস শত ১৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। লিচু শতে ৮০ টাকায় বিক্রি করছি। বৈশাখের পুরো মাসজুড়ে বাজারে ছিল তরমুজের আধিক্য। তবে এভাবে সেভাবে বিক্রি হয়নি। এতে করে অনেক তরমুজ আড়তে নষ্ট হয়েছে। এ মাসের শেষের দিকে দেশি ফলের উৎপাদন ও আমদানি বাড়লে দাম কমবে বলে জানান স্টেশন রোডের বিক্রেতারা। এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিটি ফলের দাম বেড়েছে দ্বিগুন হারে। ২ নম্বর গেট এলাকার ফল বিক্রেতা লিটন বলেন, আড়তে বেশি দামে ফল বিক্রি করছে। কারণ আড়তে চাহিদার তুলোনায় ফল কম। তবে সামনে দাম কমতে পারে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট