কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে। প্রথমবারের মতো ক্যাম্পের দুই রোহিঙ্গার দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ দুই রোহিঙ্গাসহ নতুন করে ১২ জনের পজিটিভ হিসেবে রিপোর্ট এসেছে।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের ল্যাবে নতুন পরীক্ষা করা ১৮৬ জনের মধ্যে ১২ ব্যক্তির দেহে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। অপর ১০ জনের মধ্যে কক্সবাজার সদরের ৯ জন এবং একজন চকরিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এনিয়ে কক্সবাজারে করোনা শনাক্ত হলেন ২ রোহিঙ্গাসহ ১৩১ জন। কক্সবাজারের ৮টি উপজেলা, ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে এই ১৮৬ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে হেলথ্ কো-অডিনেটর ডা. তোহা বলেন, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্প থেকে ৩৬ জন রোহিঙ্গার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তারমধ্যে বৃহস্পতিবার দুইজন রোহিঙ্গার করোনা পজিটিভ এসেছে। তারা দুইজনই উখিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দা। তারমধ্যে একজন ক্যাম্প-১, ই-ব্লকের এবং অপরজন হচ্ছে এমএসএফ ওসিআই। দুইজন রোহিঙ্গাকেই আইসোলেশনে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া এই দুই রোহিঙ্গা ঘর ও আশপাশের এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। ফলে কক্সবাজার জেলায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে ২ রোহিঙ্গাসহ ১৩১ জন শনাক্ত করা হল। যদিও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পরীক্ষা হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৫ জন। অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।
গত ৪৩ দিনে মোট ৩৩৬৩ জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস টেস্ট করা হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে স্থাপিত ল্যাবে। তারমধ্যে ১৪৫ জনের রিপোর্ট করোনা পজিটিভ পাওয়া গেল। এর মধ্যে মহেশখালীতে ১২ জন, টেকনাফে ৭ জন, উখিয়ায় ১৪ জন, রামু ৩ জন, চকরিয়ায় ৩৭ জন, কক্সবাজার সদরে ৩৬ জন, এবং পেকুয়ায় ২০ জন রয়েছে। এর সাথে যোগ হল ২ জন রোহিঙ্গা। অন্যান্যরা কক্সবাজার জেলার নিকটবর্তী বান্দরবান জেলার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ার বাসিন্দা।