করোনায় রমজানে রোজাদার মানুষের ঘরে ঘরে আর্থিক টানাপোড়ন চলছে । তারপরও সন্তানদের কথা চিন্তা করে অনেকেই গরুর মাংস কিংবা কলিজা কিনেন। সেসব মানুষের সাথেও প্রতারণা কসাইদের। নগরীর বেপারীপাড়ার শফি সওদাগরকে গরুর কলিজা রক্তে ডুবিয়ে ওজন বাড়ানোর দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় তাকে সতর্ক করা হয় এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে। আজ বুধবার ( ১৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে এই জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান অভিযান পরিচালনা করেন।
দুপর পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ৯ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মোট ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে অননুমোদিত ওষুধ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমল পানীয় ধ্বংস ও ৪টি টিসিবি ট্রাকসেল পয়েন্ট পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ সময় পশ্চিম বেপারিপাড়ার আল্লাহর দান স্টোরকে নিত্যপণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ২ হাজার টাকা, একই এলাকার বিসমিল্লাহ স্টোরকে অননুমোদিত ইউনানি ওষুধ বিক্রয় ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত ওষুধ ধ্বংস করা হয়।
কাজীর দেউরী এলাকার ফায়েজ স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই এলাকার ফয়েজ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ কোমলপানীয় সংরক্ষণ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ৭ বোতল কোমলপানীয় ধ্বংস করা হয়।
বন্দর থানা এলাকায় হালনাগাদ মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় খাজা স্টোর,এনাম স্টোর, আমানত শাহ স্টোর ও এস এম টেডার্সকে ১ হাজার করে মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় ভোক্তাসাধারণকে বিক্রেতা যদি অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করে অথবা বিক্রয়ের প্রস্তাব করে তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বর ১৬১২১ এ অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করা হয়।
জনস্বার্থে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
পূর্বকোণ/- আরপি