চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই খুলতে হবে মার্কেট দোকান-পাট, নইলে ব্যবস্থা : সিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ মে, ২০২০ | ৫:৩৩ অপরাহ্ণ

আগামীকাল রবিবার (১০ মে) রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট, মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্সে খোলার নিদের্শনা দিয়েছে সরকার। উক্ত নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেয়া হবে দোকান , শফিং মল । সেইসাথে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ  (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তার প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে আজ শনিবার (৯ মে) দুপুর ১২টায় দামপাড়া পুলিশ লাইন সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতির সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

সভায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী নেতা চট্টগ্রাম মহানগর এলাকাসহ আশপাশের এলাকায়  করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে নগরীর অধিকাংশ ব্যবসায়ী  নগরবাসীর স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে রমজান মাসে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস. এম. মোস্তাক আহমেদ খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শ্যামল কুমার নাথ, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, চট্টগ্রামের পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), চিটাগাং উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ।  নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার, নিউমার্কেট, টেরিবাজার, জহুর মার্কেট, সানমার ওশান সিটি, ইউনেস্কো টাওয়ার, আমিন সেন্টার সহ বিভিন্ন দোকান মালিকও ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।

যারা দোকানপাট, মার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স খোলা রাখার চিন্তাভাবনা করছেন তাদেরকে অবশ্যই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাসমূহ : 

১) শপিং মলের প্রবেশ মুখে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করা এবং থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে ক্রেতা সাধারণের তাপমাত্রা নির্ণয় করা।

২) শপিং মল/দোকানের প্রবেশ মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা এবং মাস্ক ব্যতীত কাউকে শপিং মলে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

৩) পণ্য ক্রয়-বিক্রয়কালে ক্রেতা-বিক্রেতার পারস্পারিক শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দোকানের সামনে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে মার্কিং করা।

৪) মাস্ক ও জীবাণুমুক্ত করণ সামগ্রী সংগ্রহে রাখা এবং এ বিষয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

৫) শপিং মল/দোকানের কর্মীদের স্বাস্থ্য অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং প্রাপ্ত তথ্য নথিভুক্ত করা।

৬) ক্রেতা সাধারণের শারীরিক তাপমাত্রা নির্ণয় পূর্বক শপিং মল/দোকানে প্রবেশ করতে দেয়া।

৭) কেন্দ্রীয় এয়ারকন্ডিশনার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় চালানো এবং বের হওয়া বাতাস যেন পুনরায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা করা।

৮) বারবার মানুষের সংস্পর্শে আসা সুবিধাসমূহ যেমন-এলিভেটর বাটন, দরজার হাতল ও ময়লা ফেলার ঝুড়ি নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা।

৯) সার্বিকভাবে শপিং মলের ফ্লোর ও অন্যান্য জিনিস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা।

১০) সেলফ সার্ভিস শপিং ও স্পর্শ ব্যতীরেকে মূল্য পরিশোধে উৎসাহিত করা।

১১) যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ রোগী থাকে তবে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধির সাথে মানতে হবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক নির্দেশনা সমূহও :

১) সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০ টা হতে বিকাল ৪ টার মধ্যে দোকান-পাট ও শপিং মলসমূহ খোলা বন্ধ করা।

২) শপিং মল/মার্কেটের ২কিঃ মিঃ এর মধ্যে বসবাসকারী ক্রেতারা সংশ্লিষ্ট শপিং মল/মার্কেটে কেনাকাটা করা।

৩) বসবাসের এলাকা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ক্রেতা সাধারণের নিজ নিজ পরিচয়পত্র (যেমন-ব্যক্তিগত আইড কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের মূল কপি ইত্যাদি) সাথে রাখা এবং চেক করে শপিং মলের প্রবেশ করতে দেয়া।

৪) বয়স্ক/শিশু/অসুস্থদের শপিং মলে গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করা।

৫) শপিং মলের প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা আলাদা নির্ধারণ করা।

৬) শপিং মলে আগত যানবাহনসমূহকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করণের ব্যবস্থা করা।

পূর্বকোণ/-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট