চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালাল ফলমণ্ডির আড়তদাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ মে, ২০২০ | ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে পবিত্র রমজানে ধারাবাহিক অভিযানের পরও মাল্টাজাতীয় ফলের চড়ামূল্য না কমেছে বদলেছে বিক্রির কৌশল। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার (৫ মে) চট্টগ্রামে ফলের পাইকারি বাজার ফলমণ্ডিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় কয়েকজন আড়তদার পালিয়ে গেলেও এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও বাজার কমিটির সভাপতির কাছ থেকে নিয়েছে মুচলেকা নেন অভিযানের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল আলম।

এদিকে, অভিযানের খবর পেয়ে মাল্টা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ফল বাণিজ্য (প্রা.) লি., জিএস ট্রেডিং, মেসার্স নুবাইদ, ইব্রাহিম এন্টারপ্রাইজসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক দোকান খোলা রেখে কৌশলে সটকে পড়েন। আবার জরিমানা এড়াতে আগেভাগেই সাইনবোর্ড থেকে প্রতিষ্ঠানের নামও মুছে দেন অনেকে।

জানা যায়, হঠাৎ করে মাল্টার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ার পেছনে আড়তদারের হাত রয়েছে এটি জানার পর ৩০ এপ্রিল ও ২ মে দুই দফা অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। অভিযানে মাল্টার দাম কমে আসার খবর বেরোলেও একদিন পর বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। অভিযানে দাম তো কমেইনি, বরং ব্যবসায়ীরা বদলে ফেলেন বিক্রির কৌশল। কম দামের ভুয়া রশিদের মাধ্যমে তারা চালিয়ে যাচ্ছিল কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বাণিজ্য। আমদানিসহ সব খরচ মিলে ৬০-৬৫ টাকার মাল্টা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তারা বিক্রি করছিলেন ১৬০ টাকায়।

অভিযানে গিয়ে আরো দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যবসায়ীরা আড়তে মাল্টা বিক্রি বন্ধ রেখে তা কোল্ডস্টোর থেকে বিক্রি করছেন। আবার হাতেগোনা কয়েকজন আড়তদার খুচরো বিক্রেতাদের কাছে মাল্টা বিক্রি করলেও তাও আবার ভুয়া রসিদের মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছিল। দেখা যায়, কার্টনপ্রতি ২৪০০ টাকা বিক্রি করলেও ১৫০০ টাকার রসিদ ধরিয়ে দেয়া হচ্ছিল। আর যারা কোল্ডস্টোর থেকে কেনেন, তাদেরকে কোন ধরনের রসিদ ছাড়াই ২৪০০ টাকা কিনতে হয় প্রতি কার্টন মাল্টা।

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট