নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনা আক্রান্ত ৫৯ বছর বয়সী বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিক আইসোলেশন থেকে এখন তুমব্রুরতে নিজ বাসস্থানে। আক্রান্ত হওয়ার ১০দিনের মাথায় তিনি করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

গত (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছিলো এই প্রথম করোনা জয়ী আবু ছিদ্দিককে। বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিকের চতুর্থ বারের রিপোর্টেও নেগেটিভ তা পূর্বকোণকে নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মো. ছলিম। তিনি প্রাথমিকভাবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ঘরে ফিরে আরও ৭ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছিলেন দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা ।

৩ মে (রবিবার) ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী চতুর্থ বারের মত আবারও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আজ ৪ মে সোমবার দুপুর ওই নমুনার রিপোর্টস নেগেটিভ আসাতে সে এখন পুরোপুরিভাবে সুস্থ বলা যেতে পারে এবং আগের মতো সমাজে সবাইর সথে মিলামেশা করা আর কোন বাঁধা রইলো না।  করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে তাকে যত্নসহকারে ন্যাশানাল গাইড লাইন মোতাবেক চিকিৎসা পাওয়ায় আজ তার সাফল্য বলে দাবি করা যায়। খবর নিয়ে জানা যায় তিনি বেশ সুস্থে আছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সুস্থ ব্যাক্তি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার ৫৯ বছর বয়সী আবু ছিদ্দীক পরপর তিনবার পরীক্ষায় এই রোগীর ফলাফল করোনা নেগেটিভ এসেছে। ন্যাশানাল গাইড লাইন অনুযায়ী এক সাপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টেইনে রেখে চতুর্থ বারের মতো পুণঃরায় নমুনা নিয়ে ল্যাবে পাঠানো হলে সেই নমুনার রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তিনি এখন রোগ মুক্ত। 

উল্লেখ্য, প্রথম করোনা সনাক্ত রোগী ছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে একি পরিবারের ৪ জন করোনা শনাক্ত রোগী রয়েছে। তারা সবাই উপসর্গ ছাড়াই করোনা রোগী করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ।