চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নাইক্ষ্যংছড়িতে আইসোলেশনে থাকা বৃদ্ধের করোনা নেগেটিভ

নাইক্ষ্যংছড়ি সংবাদদাতা

২৪ এপ্রিল, ২০২০ | ৩:৪২ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাস পজিটিভ নিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হওয়া ঊনষাট বছর বয়সী বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিকের দ্বিতীয় করোনা টেস্টে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলেনি।

ওই রোগী সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছিলেন। তবে করোনা পজিটিভ হলেও রোগীর শারীরিক অবস্থা ছিলো স্থিতিশীল।

বৃহস্পতিবার কক্সবাবাজার মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয় তার দ্বিতীয় বারের নমুনা।

আজ শুত্রবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ২টায় এ রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা (টিএস) ডা. আবু জাফর মো. ছলিম।

তিনি দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পূর্বকোণ অনলাইনকে বলেন, করোনা রোগী বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিকের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেলেও তাকে আইসোলেশনে রেখে নিয়মিত চিকিৎসা দিয়ে আসছিলো চিকিৎকেরা।

নিয়ম মাফিক তার চিকিৎসা চালিয়ে আসচ্ছিলো কর্মরত চিকিৎসকেরা। এক সাপ্তাহর মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো নমুনা সংগ্রহ পাঠানো রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানান, বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিকের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ার পর তার স্ত্রীসহ সংস্পর্শ ১০ ব্যক্তির নমুনা (সেম্পল) সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেই ১০ জনের নমুনার রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।

করোনা আক্রান্ত আবু ছিদ্দিককে চিকিৎসা দেয়া সংস্পর্শ হওয়া চিকিৎসকসহ হাসপাতালের কর্মচারী সাত ব্যক্তিকেও নমুনা (সেম্পল) টেস্টে করা হয়। তাদেরও করোনা নেগেটিভ আসে।

করোনা পজেটিভ বৃদ্ধ আবু ছিদ্দিককে নিয়ম মতো দ্বিতীয় বারের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে। সেখান থেকে দ্বিতীয়বারের রিপোর্ট আসে নেগেটিভ। নিয়ম অনুযায়ী আজ শুক্রবার তৃতীয় বারের মতো আর একটি নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেই নমুনা টেস্ট রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে রোগীকে ছাড়পত্র কখন দেয়া যাবে।

এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছে তৃতীয় টেস্টের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না রোগী পুরোপুরিভাবে সুস্থতার কথা।

উল্লেখ্য, ঢাকা তাবলীগ ফেরত আবু ছিদ্দিক (৫৯) নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ১৫ এপ্রিল। ১৬ এপ্রিল রিপোর্ট আসে পজেটিভ। ওইদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিলেও পরদিন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে তাকে নিয়ে আসা হয় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে। তার এলাকায় ৩৬ পরিবারকে দেয়া হয় লকডাউন। স্ত্রীসহ সংস্পর্শ ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তাতে সবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট