চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত তিনজনের বাড়ি ‘লকডাউন’

অনলাইন ডেস্ক

২৩ এপ্রিল, ২০২০ | ১:৪৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত তিনজনের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

বুধবার (২২ এপ্রিল) শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউন করেন প্রশাসন।

শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের একজন চিকিৎসক (২৯), আরেকজন পুলিশ (৪২) এবং অপরজন এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী (৪২)।

ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর ইউনিয়নের একটি পাঁচতলা ভবন, নগরীর লালখান বাজার এলাকার একটি পাঁচতলা ভবন, বালুছড়া কুলগাঁও এলাকার একটি ছয়তলা ভবনে করোনা শনাক্তরা বসববাস করতেন বলে এই তিনটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন প্রশাসন।

জানা গেছে, আক্রান্ত চিকিৎসক ২৯ বছর বয়সী এক যুবক। তিনি ফটিকছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীনে নাজিরহাট হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে কাজ করতেন। নাজিরহাটে বসবাস করলেও তার বাড়ি দক্ষিণ চট্টগ্রামের করোনা ক্লাস্টার সাতকানিয়ায়। তিনি গত জানুয়ারিতে ফটিকছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগ দেন।

নাজিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘ফটিকছড়িতে আক্রান্ত চিকিৎসক নাজিরহাট হাসপাতালের আউটডোরে ফ্লু কর্নারে কাজ করতেন। গতকাল রাতেই তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি কীভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তা ট্রেস করা যায়নি। ইতোমধ্যে নাজিরহাটে তার বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটি-এসবি শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. আবদুর ওয়ারিশ বলেন, ‘নতুন শনাক্ত হওয়া দুইজনের একজন নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সদস্য ও অপরজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী।

এর আগে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে তিন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। লালখান বাজার এলাকায় করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্য গত ১৭ এপ্রিল থেকে জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে ১৯ এপ্রিল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসেন তিনি। বুধবার (২২ এপ্রিল) নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।’
পুলিশের স্ত্রী প্রসঙ্গে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার বলেন, ‘বালুছড়া কুলগাঁও এলাকার আক্রান্ত নারী ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পুলিশ সদস্যের স্ত্রী একটি এনজিও’র মাইক্রো ক্রেডিট প্রোগ্রামে চাকরি করেন। তিনি বালুছড়া এলাকার একটি বাউন্ডারি ওয়ালে ঘেরা একটি ছয়তলা বিল্ডিংয়ে বসবাস করেন। আমরা বিল্ডিংটি লকডাউন করেছি।’

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ সদস্যটি লালখান বাজার এলাকার হাইলেভেল রোডের একটি পাঁচতলা বিল্ডিংয়ে থাকেন। করোনা শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ওই বিল্ডিংটি লকডাউন করেছি।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৬ মার্চ থেকে জ্বরে আক্রান্ত হলেও সর্বশেষ গত ৩১ মার্চেও পুলিশ সদস্যের স্ত্রী শেরশাহ এলাকায় অফিসে করেছেন। এরপর থেকে বাসাতেই ছিলেন। ৩১ মার্চ টাইফয়েড ও ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করালে ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে পরবর্তীতে ওই নারীর স্বামীর কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ২০ এপ্রিল স্বামী-স্ত্রী দুজনের নমুনা নেয়া হয়। বিআইটিআইডি থেকে টিম এসে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনা পরীক্ষায় গতকাল রাতে স্ত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট