চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

হাসপাতাল থেকে পালালেন করোনা আক্রান্ত রোগী!

অনলাইন ডেস্ক

২২ এপ্রিল, ২০২০ | ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিকের এক ব্যক্তি (৫০) হাতের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসাধীন সেই ব্যক্তি তার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের খবর শুনে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে চট্টগ্রাম আসার চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ ফেনী এলাকায় ব্যারিকেড দিয়ে তাকে বহনকারী প্রাইভেটকারটি আটক করে।

সোমবার (২০ এপ্রিল) পরীক্ষায় ওই ব্যক্তির করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর সেদিনই তিনি পালিয়ে চট্টগ্রামে বাড়িতে চলে আসার চেষ্টা করেন। পরে সোমবার রাতে তাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীতে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খোন্দকার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাতের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই রোগীর স্বজনরা করোনার উপসর্গ গোপন করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে রোগীর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তার জ্বর, শ্বাসকষ্ট দেখতে পান। পরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নমুনা সংগ্রহ করা হয়। হাসপাতালে করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় সোমবার কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মচারীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, খিলক্ষেত থানা থেকে ওই ব্যক্তির নাম-ঠিকানা দিয়ে জানানো হয় তিনি করোনা আক্রান্ত রোগী। তিনি ঢাকা থেকে পালিয়ে গেছে। পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা প্রযুক্তির সাহায্যে সোমবার রাতে ফেনীর সদর থানার স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় করোনা আক্রান্ত ওই রোগীকে উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, পরে তাকে পুলিশের পাহারায় রাতে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আনা হয়। কিন্তু রাতে হাসপাতালে ভর্তি না করায় পুনরায় পুলিশের পাহারায় চান্দগাঁও আবাসিক বাসাতে নিয়ে যাওয়া হয়। যেহেতু তিনি একবার হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন,  সে জন্য ওই রোগীর ব্যাপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার বিকেলে পুণরায় পুলিশ পাহারায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব জানান, ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে হাতের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের এক পুরুষ (৫০) রোগী ভর্তি হন। জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে করেনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সোমবার করেনাভাইরস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এম

 

 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট