চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল

২২ এপ্রিল, ২০২০ | ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ

১৯৯০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে চালু হয় দেশের একমাত্র পারপার্স ফিল্ড হাসপাতাল খুলশীর, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল। শুরুতেই হাসপাতালটিতে একশ’ শয্যার পাশাপাশি আইসিইউ-ভেন্টিলেটর সুবিধা ছিল। একই সাথে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থাও ছিল হাসপাতালটিতে। দীর্ঘ কয়েক বছর অভিজাত এ হাসপাতালে সেবা কার্যক্রম চললেও আজানা কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে করোনার এই পরিস্থিতিতে এটিকে পুনরায় চালু করে পৃথক করোনা হাসপাতাল করা যুগপোযোগী বলে মনে করেন হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. কাজী আইনুল হক। তিনি বলেন, ‘একটি পূর্ণাঙ্গ করোনা হাসপাতাল করার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত এখানে আছে। চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এর ভেতর। হাসপাতালের পেছনে অবস্থিত হোস্টেলে ৩০ থেকে ৪০ জন নার্স বা স্বাস্থ্য কর্মী থাকতে পারবেন। একই সাথে হাসপাতালে সামনের অংশে থাকা আগের আউটডোরের যে রুম গুলো রয়েছে তাতেও কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন চিকিৎসক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। শুধুমাত্র পরিচালনার জন্য একজন দক্ষ ব্যক্তির প্রয়োজন। একই সাথে তাদের খাবার সরবরাহসহ চিকিৎসা নিরপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে।

চট্টগ্রামের বেসরকারি ক্লিনিক মালিকদের উদ্যোগ :

চট্টগ্রামের প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনের অর্থায়নে করোনা রোগীদের সুচিকিৎসা প্রদানের জন্য ১০ এপ্রিল হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে সংস্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। উদ্যোক্তা কমিটির আহ্বায়ক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তার সমন্বয়ে এসোসিয়েশনের সদস্যদের সাথে আলোচনার পর সংস্কার কাজ শুরু হয়। কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র আইসিইউ-ভেন্টিলেটর স্থাপন হলেই তা পুরোপুরি যাত্রা শুরু করবে। একে পুরোদমে চালু করতে পারলে চট্টগ্রামে বিশেষায়িত একটি করোনা হাসপাতাল হিসেবে এটি যাত্রা করবে। এখানে থাকবে ১২ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ও ৮০টি সাধারণ শয্যাসহ একশ শয্যা। এরপর ধাপে ধাপে এটিকে দেড়শ’ শয্যায় রূপান্তর করা হবে। চট্টগ্রামের প্রাইভেট ক্লিনিক ওনার্স এসোসিয়েশনের দাবি, পরিকল্পনা-মাফিক পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল যদি চালু করা যায় তাহলে করোনার যে আতঙ্ক চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর ভর করছে, সেটি দূর হবে।

সহযোগিতা করতে প্রস্তুত স্বাস্থ্য দপ্তর :

স্বাস্থ্য দপ্তর, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির পূর্বকোণকে বলেন, ‘সরকারিভাবে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসকদের থাকা-খাওয়া এবং শয্যা সংখ্যা খুবই সীমিত। ওই হিসেবে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি পৃথক করোনা হাসপাতালে চালু হলে এটি হবে চট্টগ্রামের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল। যাতে একসঙ্গে শতাধিক আইসোলেশন শয্যা এবং আইসিইউ-ভেন্টিলেটর সুবিধা পাওয়া যাবে। একইসাথে চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের থাকা- খাওয়ার বিষয়টিও একই গন্ডির মধ্যে থাকবে। তাহলে অন্তত ভাইরাসের ঝুঁকিও কম হবে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা করবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট