চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

লকডাউন এলাকায় প্রবেশে সহায়তা: এসআই’কে পাকড়াও করলো জনতা

কাউখালী সংবাদদাতা

১৬ এপ্রিল, ২০২০ | ৪:৩৪ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষকে কাউখালী ও রাঙামাটিসহ বিভিন্ন এলাকায় মাথাপিছু এক হাজার টাকার বিনিময়ে প্রবেশ করাতে গিয়ে নগদ টাকাসহ জনতার হাতে ধরা পড়লো রাঙ্গুনিয়ার রানীহাট পুলিশ ফাড়ির এসআই মো. শহিদুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল)  সকাল আটটায় কাউখালীর মঘাইছড়ি ইটভাটা সংলগ্ন চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহা সড়কে শসস্ত্র অবস্থায় সাদা পোষাকে চাঁদাবাজী করতে গেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের সহযোগিতায় উত্তেজিত জনতা তাকে আটক করে। পরে কাউখালী থানার আওতাধীন মঘাইছড়ি পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত পুলিশ অভিযুক্ত ঐ এসআইকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। কাউখালী পুলিশ পরে তাকে রাঙ্গুনীয়া পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে।

খবর পেয়ে কাউখালীর দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম, রাঙ্গুনীয়া সার্কেলের এএসপি মো. আবুল কালাম, কাউখালী থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ পিপিএম, রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলামসহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু বিষয়টি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে সেহেতু তার বিরুদ্ধে অফিসিয়ালি ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি মো. আবুল কালাম জানান, বিষয়টি আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তিনি জানান, এমন গর্হিত অপরাধের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তার বিরুদ্ধ বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাউখালীর ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জগদিশ চাকমা জানান, দেশজুড়ে লকডাউনের পর থেকে রাঙ্গুনিয়ার রানীহাট পুলিশ ফাড়ির আইসি মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কাউখালীর সীমানায় এসে সাদা পোষাকে প্রায়শই চাঁদাবাজীর অভিযোগ রয়েছে। তিনি জানান, গত এক সপ্তাহে অভিযুক্ত এ এসআই মাথাপিছু এক হাজার টাকার বিনিময়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাহাড়ি বাঙ্গালীকে পাহাড়ে প্রবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছে। দৈনিক গড়ে ৮০-১০০ জন নারী-পুরুষকে প্রবেশ করার সুযোগ দিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। ফলে পুরো এলাকা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

ঘাগড়া ইনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য বর্ণা চাকমা জানান, লকডাউন থাকার পরও মাথাপিছু এক হাজার টাকা নিয়ে মানুষকে পাহাড়ে প্রবেশ করার সুযোগ দিচ্ছিলেন সাদা পোষাকধারী অভিযুক্ত ওই এসআই। আমরা খবর পেয়ে এলাকার লোকজনকে সাথে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে সে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে উত্তেজিত জনতা নগদ ৬  হাজার টাকাসহ তাকে মঘাইছড়ি পুলিশ ক্যাম্পে সপর্দ করে।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট