চট্টগ্রামে বকেয়া বেতনের দাবিতে ইপিজেড ও আতুরার ডিপো এলাকায় দুই গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ইপিজেড মোড়ে এলাকায় পদ্মা ওয়্যার গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সড়ক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।
ইপিজেড থানার ওসি মো. নুরুল হুদা জানান, বিক্ষেভের খবর পেয়ে আমরা গিয়ে তাদের ‘বুঝিয়ে’ সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। ওই কারখানায় দুই হাজারের মতো শ্রমিক রয়েছে। আজ তাদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। সেজন্য সকাল থেকে তারা কারখানায় জড়ো হয়েছিল। কিন্তু মালিক পরে বেতন দেওয়ার কথা বললে তারা বিক্ষোভ শুরু করে।”
এদিকে বন্দরনগরীর আতুরার ডিপো এলাকায় ইত্যাদি গার্মেন্টস নামে আরেকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, ওই কারখানায় বুধবার বেতন দেয়ার কথা থাকলেও মালিক তা পিছিয়ে দেন।
“শ্রমিকরা তখন বিক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার সামনে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করে।“
নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে বিশ্বের বড় একটি অংশে এখন ব্যবসা বাণিজ্য ও যোগাযোগ বন্ধ। বাংলাদেশেও সব অফিস আদালত ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সবাইকে ঘরে থাকতে বলেছে। গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএও সব পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক কারখানাগুলোর শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।
ওই তহবিলের টাকা গার্মেন্ট মালিকরা পাবেন ঋণ হিসেবে। তবে যেসব কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করছে, তারাই এ তহবিলের অর্থ পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে।
পূর্বকোণ/পিআর