চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

বৃহত্তর চট্টগ্রামের একমাত্র পরীক্ষাগার বিআইটিআইডি হাসপাতাল

নতুন শঙ্কা কিট সংকট

ইমাম হোসাইন রাজু

১৪ এপ্রিল, ২০২০ | ২:৫৬ পূর্বাহ্ণ

  • চাহিদা পূরণে স্বাস্থ্য দপ্তরে চিঠি
  • আজ-কালের মধ্যে শেষ হবে মজুদ

বৃহত্তর চট্টগ্রামের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের একমাত্র পরীক্ষাগার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতাল। সরকারিভাবে কিট আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাতশ’ নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে হাসপাতালটির চিকিৎসকরা। যার জন্য ব্যবহার করতে হয়েছে প্রায় সাড়ে আটশ’ কিট। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে কিট মজুদ আছে দুইশ’ থেকে মাত্র আড়াইশ’। তবে হাতে থাকা এসব কিটও আজ বা কাল শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে করে কিট সংকটে পড়তে হবে হাসপাতালকে।
এদিকে, কিট সংকট থাকার বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিদিন অবহিত করার পরও, গতকাল সোমবার পর্যন্ত পাওয়া যায়নি নতুন কোন কিট। যদি দু-একদিনের মধ্যে কিট না আসে তাহলে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ ফ্রান্সের একটি ফাউন্ডেশন থেকে অনুদান পাওয়া মাত্র একশ’ কিট দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু করে বিআইটিআইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর কিছুদিন পর সরকারিভাবে পৃথক আরও একশ’টি কিট পায় হাসপাতালটি। যদিও চলতি মাসের শুরুতে হাসপাতালটি সরকারিভাবে আরও আটশ’ কিট দেওয়া হয়। সবগুলো ছিল পিসিআর কিট।
এর বাইরে বেসরকারিভাবে আরও হাজারখানেক কিট পায় হাসপাতালটি। কিন্তু সেগুলো ছিল র‌্যাপিড টেস্টিং কিট। তবে এসব কিট ব্যবহার নিয়ে নানান প্রশ্ন থাকায় তা ব্যবহার করতে ইচ্ছুক নয় ল্যাব কর্তৃপক্ষ। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এসব টেস্টিং কিটে ভুল ফলাফল আসার সম্ভাবনা থাকে। ইতোমধ্যে এসব নিয়ে বিভিন্ন দেশেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
এদিকে, পিসিআর কিটের সংকটের বিষয়ে চলতি সপ্তাহে বিআইটিআইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিট সরবরাহ চেয়ে একটি চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে। কিন্তু দিন পার হলেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত কোন কিটেই পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের পরিচালক ডা. এম এ হাসান চৌধুরী পূর্বকোণকে বলেন, ‘সংকটের বিষয়টি জানিয়ে চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। আজও (সোমবার) এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা বলেছেন কাল (মঙ্গলবার) বা পরশু (বুধবার) পাঠাবেন। এ দুইদিন পরীক্ষা করার মতো হাতে কিছু কিট রয়েছে। এরমধ্যে কিট না আসলে পরদিন থেকে পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট