চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

কক্সবাজারের ৮ থানার ওসিসহ ২৬৪ জনকে গণবদলি

ফোন পেয়ে প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে গেল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ এপ্রিল, ২০২০ | ১০:৪৩ অপরাহ্ণ

প্রসূতি মেয়ের যন্ত্রণা বেড়েই চলেছিল। টিএসপির সাবেক কর্মচারী আবদুর রউফ ভুঁইয়া জানতেন এই মুহূর্তে কোনো সিএনজি অটোরিকশা পাওয়া যাবে না। এম্বুলেন্স পেলেও তা সময়ের ব্যাপার। এমন বিপদে পুলিশই একমাত্র ভরসা।

তাই উপায়ান্তর না দেখে আবদুর রউফ ভুঁইয়া ফোন করেছিলেন নিকটস্থ পতেঙ্গা থানায়। ফোন করার ১০ মিনিটের মাথায় পতেঙ্গা থানাধীন মকবুল হাউজিং সোসাইটিতে আবদুর রউফ ভুঁইয়ার বাসার সামনে হাজির হয় পুলিশের গাড়ি।

পরে আবদুর রউফ ভুঁইয়ার মেয়ে আফরোজা বেগমকে (২২) পুলিশ সদস্যরা ধরাধরি করে তাদের গাড়ি করে নিয়ে যান বন্দরটিলা মমতা ক্লিনিকে। ভর্তিও করিয়ে দেন তারা নিজেরাই। আফরোজা বেগম বর্তমানে মমতা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আবদুর রউফ ভুঁইয়া বলেন, দুপুর আড়াইটায় মেয়ের যন্ত্রনা উঠে। বাসা থেকে হাসপাতালে নেয়াটাও তখন জরুরি হয়ে পড়ে। আমি জানতাম এই মুহূর্তে কোনো সিএনজি অটোরিকশা পাওয়া যাবে না। এম্বুলেন্স পেলেও তা সময়ের ব্যাপার। তাই থানার ওসি সাহেবকে ফোন করে বিষয়টি বলি। তার ঠিক ১০ মিনিটের মধ্যে আসার সামনে পুলিশ গাড়ি নিয়ে হাজির হয়ে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। নিজেরাই দৌড়াদৌড়ি করে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে। এখন আমার মেয়ে মমতা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিপদে সহায়তা করায় পতেঙ্গা থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান আবদুর রউফ ভুঁইয়া।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, আবদুর রউফ নামে এক ব্যক্তি দুপুরে ফোন করে মেয়েকে হাসপাতালে নিতে পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের গাড়ি পাঠিয়ে দিই। পরে সেই গাড়ি করে তাদের হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হয়।

 

 

 

পূর্বকোণ/আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট