চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়াতে ব্যতিক্রম পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ এপ্রিল, ২০২০ | ৭:৫৩ অপরাহ্ণ

প্রাকৃতিক সম্পদ ও সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কম বৃষ্টিপাত, লেকের সঙ্গে সংযুক্ত নদীগুলোর নাব্যতা হ্রাস, লেকের পানির গভীরতা কমে দেশীয় প্রজাতির মাছ ইতোমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এজন্য কাপ্তাই হ্রদের ৭টি অভয়াশ্রমকে মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও প্রজনন ক্ষেত্রগুলোতে সার্বক্ষণিক নজরদারির পাশাপাশি বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি ফেলা শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক কাপ্তাই হ্রদে নিয়মিত কার্পজাতীয় মাছের পোনা ছাড়া হলেও দিনদিন তার উৎপাদন কমে গেছে। পাশাপাশি ছোট মাছের পরিমাণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের উৎপাদন ৮৫ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। হ্রদে ছোট মাছের আধিক্য থাকলে সেখানে খাদ্য সংকটে কার্পজাতীয় মাছের বৃদ্ধি কম হয়। তাই কাপ্তাই হ্রদের ছোট মাছের সংখ্যা দ্রুত কমানোর নির্দেশও দিয়েছে সংশ্লিষ্ট্য মৎস্য সম্পদ মন্ত্রণালয়।

এজন্য হ্রদে বিলুপ্ত প্রজাতির চিতল, রুই, মহাশোলসহ গভীর পানিতে থাকা মাছগুলোর প্রজনন বাড়াতে কাপ্তাই হ্রদের অভয়াশ্রমগুলোকে নতুন করে সংস্কার করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।

বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, কাপ্তাই হ্রদের বিশাল এলাকাকে পূর্ণাঙ্গ নজরদারিতে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই কাপ্তাই মূল তিনটি পয়েন্ট কাচালং নদীর মোহনা, ডিসি বাংলো ও বিএফডিসি অফিস সম্মুখের অভয়াশ্রমগুলোতে প্রাথমিক পর্যায়ে বাঁশের ঘেরাও দিয়ে মধ্যখানে গাছের ডালপালা ও গুঁড়ি ফেলা শুরু করেছি। এতে করে মাছের নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে ওঠার পাশাপাশি সঠিক সময়ে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে মৎস্য প্রজনন হবে। এই গাছের গুঁড়ি ও বাশঁগুলো উপড়ে ফেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

 

 

 

 

পূর্বকোণ-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট