চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

মানা হচ্ছে না নিরাপদ দূরত্ব

মুদি দোকান, কাঁচাবাজার, মাছের বাজার ও ওষুধের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

মরিয়ম জাহান মুন্নি

৮ এপ্রিল, ২০২০ | ২:৫১ পূর্বাহ্ণ

মহামারী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় দেশের সর্বত্র কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রশাসনও কঠোর অবস্থায় রয়েছে। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সবক্ষেত্রে জোরদার করা হলেও সরকারের আদেশে খোলা রয়েছে মুদি দোকান, কাঁচাবাজার, মাছের বাজার ও ওষুধের দোকান। এসব দোকানগুলোতে সকাল থেকে চলে জমজমাট ব্যবসা। এই দোকানগুলোতে বেচা-কেনার ভিড়ে মানা হচ্ছে কোনো সর্তকতা। প্রতিটি দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার বিপদজনক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। সর্বত্র নিরাপত্তার জন্য ‘লকডাউন’ চললেও বাজারগুলোতে নেই কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে নগরী লকডাউন করা হয়েছে। কিন্তু সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুদি দোকান, কাঁচা বাজার ও মাছের বাজার খোলার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। পুরো নগরী বন্ধ থাকলেও নগরীর বাজারগুলোতে সারাদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে ব্যবসা। গতকাল সরেজমিনে নগরীর ২ নম্বর গেট বাজারে দেখা যায়, প্রতিটি মুদি দোকানে ক্রেতার ভিড়। বিক্রেতাদের মধ্যে সর্তকতার বালাই নেই বললেই চলে। মুখে নেই মাস্ক, কারো কাছে যদি মাস্ক দেখাও যায়, সেটি শুধু কানের সাথে ঝুলানো অবস্থায় পড়ে থাকে। অনেক ক্রেতার মুখেও ছিল না মাস্ক। যা সকলের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
একটি প্রাইভেট কোম্পানির কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, ‘অতি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়েছি। ঘরে বাজার নেই। তাই বাজার করতে এসেছি। কিন্তু বাজারের পরিস্থিতি দেখে ভয় লাগছে। বাজারে যে ভিড় কারো মধ্যে কোনো নিরাপত্তা নেই। যেমন ব্যবসায়ীরা মানছে না, তেমন ক্রেতারাও মানছে না। নিজেকে যত দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছি অন্যরা তত গায়ের কাছে ঘেঁষে আসে। এখানে কে সুস্থ কে অসুস্থ তাতো বুঝার উপায় নেই। এই দোকানগুলো খোলা রাখা হয়েছে অতি প্রয়োজনে। কিন্তু এরাতো আর নিয়মের ঊর্ধ্বে নয়। তাই ব্যবসায়ীদের এ নিয়ম মানা দরকার। ব্যবসা করবে নিরাপদ দূরত্ব রেখে। সাথে ক্রেতাদেরও এ নিয়ম মানতে জোর দেয়া দরকার। না মানলে জরিমানা করা দরকার। ভিড় কমাতে প্রশাসনের দৃষ্টি এখন বাজারের দিকে দেয়া খুব প্রয়োজন। তাহলে করোনা ঝুঁকি আরো কমিয়ে আনা সম্ভব হবে’।
এ বিষয়ে দোকানিরা দায়িত্ব এড়িয়ে বলেন, আমরা কি করবো। আমরাতো মানুষের জন্যই দোকান খোলা রেখেছি। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের জীবনের নিরাপত্তাওতো নেই। ক্রেতারা যদি নিজেরা দূরত্ব না মানে করার তো কিছুই করার নেই। এ ব্যাপারে আমরাও প্রশাসনের সাহায্য চাই। এতে আমরাও নিরাপদে থাকবো।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট