চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নেয়ার অভিযোগ

ত্রাণ দিয়ে কেড়ে নিলেন তিনি

হাটহাজারী সংবাদদাতা

৮ এপ্রিল, ২০২০ | ২:৫৪ পূর্বাহ্ণ

হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিতর্কিত চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে এবার কর্মহীন অসহায় মানুষদের ত্রাণের চাল দেবে বলে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে এনে চাল দিয়ে পুনরায় তা কেড়ে নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার (৬এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ৫ এপ্রিল করোনার সরকারি ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ এনে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা চেয়ারম্যান আবছারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন ইউএনও বরাবরে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নুরুল আবছার হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে।
সূত্রে প্রকাশ, হাটহাজারী উপজেলা ৩নং মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এনে মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। এনিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক এবং অনলাইন পোর্টালে চেয়ারম্যান আবছারের এসব অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর এ চেয়ারম্যান আবছারের দুর্নীতি তদন্তে গত ৬ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে চট্টগ্রাম ডিসি অফিসের একটি তদন্ত টিম মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে যায়। তদন্ত টিমের সামনে লোক দেখানো জন্য বিতর্কিত চেয়ারম্যান আবছার কর্মহীন মানুষদের গাদাগাদি ভাবে জমায়েত করে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালায়। পরিষদ থেকে তদন্ত টিম চলে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাই মিজানুর রহমান টিপু ওই অসহায় মানুষগুলোকে দেয়া ত্রাণের চাল কেড়ে নিয়ে তাদের ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগে প্রকাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী গণমাধ্যমকে বলেন, চেয়ারম্যানের এমন অমানবিক কা-ে আমরা ক্ষুব্ধ, এসব ভুক্তভোগীরা চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেছেন।
বক্তব্য নেয়ার জন্য চেয়ারম্যান আবছারের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে জানান, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ত্রাণ দেয়ার কথা বলে লোকজনকে পরিষদে নিয়ে যান। তাদের ত্রাণ দেওয়ার পর তা আবার কেড়ে নেন। অসহায় ২৬টি পরিবারের লোকজন উপজেলা পরিষদে এসে কান্নাকাটি করতে থাকেন। পরে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ত্রাণ দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট