চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও সড়কে টেম্পো

অক্সিজেন-২ নম্বর গেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ এপ্রিল, ২০২০ | ৮:৩১ অপরাহ্ণ

প্রতিদিনই চলছে অক্সিজেন থেকে ২ নম্বর গেট পর্যন্ত টেম্পো। গাড়ি ভর্তি যাত্রী নিয়ে দিব্যি যাতায়াত করছে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও। যত্রতত্র চলছে যাত্রী উঠানামা। নেই কোনো সতর্কতা, মানছে না সরকারি নিষেধাজ্ঞা। অভাবের কাছে করোনা ভয় যেন অতি তুচ্ছ এই পরিবহন শ্রমিকদের কাছে। তাই সরকারি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও পরিবারের খাবার জোগাড় করতে ঘর থেকে বেরুচ্ছেন  শ্রমিকেরা।

 তাদের এমন অসতর্কতায় হুমকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষের জীবন। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশ ১০ দিনের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। আবার পরিস্থিতির অবনতি দেখে সেই ছুটি আরো বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু পরিবহন শ্রমিকরা প্রথম কয়েকদিন এ আদেশ মানলেও পরবর্তীতে আর মানছে না। নগরীর বায়েজিদ সড়কে প্রতিদিনই চলছে অক্সিজেন থেকে ২ নম্বর গেট পর্যন্ত এসব টেম্পো। যেখানে সেখানে করছে যাত্রী উঠানামা। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সড়কে গাড়িগুলো চলছে কিন্তু প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায় ২নম্বর গেট রেললাইনের উপরে আগের মত দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি টেম্পো। কিছু গাড়ি অক্সিজেন থেকে আসছে আর কিছু যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া রেললাইনের পাশে আগের মত ভ্যানে করে হকারদের সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায়। আর সেখানেও ক্রেতাদের বেশ ভিড় ছিল। এখানেও ছিল না নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব। অথচ একদিন আগেই শহরের দামপাড়ায় এক ব্যক্তির শরীরে কোভিড-১৯ পাওয়া যায়। শীঘ্রই যদি জনসমাগম ও টেম্পো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তবে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি দেখে এলাকাবাসী হতাশা প্রকাশ করেন।
মেয়র গলির স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. আবদুল্লা আল মামুন জানান, প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় এখানে আগের মত বাজার বসছে। আর গাড়ি স্ট্যান্ড তো আছেই। মানুষ দিব্যি এখানে বাজার করে টেম্পোতে যাতায়াত করছে। সরকারি আদেশ মানছেই না, উল্টো নিজের জীবনের সাথে অন্যের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। এখানে যে টেম্পোগুলো যাতায়াত করছে সেগুলোতে অনেক রকমের যাত্রী উঠানামা করছে। কার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায় কে জানে। যদি টেম্পো যাতায়াত বন্ধ কার যায়, তবে বাজারও নিয়ন্ত্রণ হবে। প্রশাসনকে এদিকে নজর দেয়া দরকার। এতে শুধু আমরা এলাকার মানুষই নয়, পুরো চট্টগ্রামবাসী নিরাপদ হব।
অক্সিজেনগামী টেম্পো চালক রিপন, লিটন ও কাইয়ুমের সাথে কথা বললে তারা জানায়, দেশ বন্ধ হলে তো আর পেট মানে না। করোনায় মরবো কিনা জানি না। তবে গাড়িতে না আসলে আমাদের পরিবার না খেয়ে ঠিক মরবে। আমরা দিনে এনে, দিনে খাওয়া মানুষ। এতদিন বন্ধ মানতে পারছি না।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট