চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনার সুযোগে ইয়াবা লেনদেনের সময় হাজির ডিবি, আটক ১

কক্সবাজার সংবাদদাতা

৭ এপ্রিল, ২০২০ | ৭:২৮ অপরাহ্ণ

অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে একাধিক রুট পরিবর্তন করে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়ে আসে ইয়াবাগুলো। চট্টগ্রাম নেওয়ার জন্য অপর কারবারির হাতে হস্তান্তরের সময় হাজির হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ। গন্তব্যে পৌঁছার আগেই মাঝপথে ভেস্তে যায় ইয়াবার চালান পাচারের পুরো পরিকল্পনা। ইয়াবাসহ ডিবির জালে আটকা পড়ে এক কারবারি।
ডিবির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ইয়াবার চালানসহ এক কারবারি ধরা পড়লেও ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায় আরও দুই কারবারি। তাদেরকেও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তথ্যমতে, সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে রামু থানাধীন জোয়ারিয়া নালা ইউপিস্থ কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে নাইক্ষ্যংছড়িগামী রাস্তার সংযোগ স্থলে মঞ্জুর আলম নামে এক ব্যক্তির দোকানের সামনে ইয়াবা লেনদেনের গোপন তথ্য পায় ডিবি। ওই তথ্য অনুযায়ী সেখানে উপস্থিত হয় ডিবি পুলিশ। সেখানে তিনজন ব্যক্তি চটের ব্যাগে করে কিছু একটা লেনদেনের সন্দেহ হলে দ্রুত অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে মো. আলমগীর হোসেন (২৬) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। অপর দুই জন ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে চটের ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। পরে চটের ব্যাগ থেকে ২০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
ডিবি পুলিশের হাতে আটক আলমগীর হোসেন রামুর জোয়ারিয়ানালা উত্তর মিঠাছড়ি চৌধুরীপাড়া চা বাগান চেমলীর বাপের বাড়ি এলাকার বজল আহম্মদের ছেলে। আর পালিয়ে যাওয়া অপর দুজন হলেন- উখিয়ার মরিচ্যা গরুবাজার এলাকার আবুল হাশেম (২৫) ও উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাহমুদুর রহমান দাছরা(৪০)।
ইয়াবার চালান জব্দের মামলায় আটক, পলাতক ও অজ্ঞাতসহ ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিকাল ৫.২৮ মিনিটে ইয়াবার চালান জব্দের এ অভিযানের তথ্য জানান ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া। তিনি জানান, ইয়াবাগুলো কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাহমুদুর রহমানের কাছ থেকে ক্রয় করে আবুল হাশেম ও তার এক সহযোগী। পরে সেগুলো বিভিন্ন উপায়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি গামী রাস্তার সংযোগ স্থল এলাকায় আলমগীর হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে লেনদেনের সময় চালানটি আটকানো হয়। অভিযানে ইয়াবাসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। দুইজন পালিয়ে গেছে।
ডিবির পরিদর্শক মানস বড়ুয়া বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করোনা সংকট মোকাবেলায় ব্যস্ত রয়েছে মনে করে পাচারকারীরা এই সংকট মুহুর্তটাকে ইয়াবা পাচারের সময় হিসেবে বেছে নিয়েছে। কিন্তু রেহায় পাচ্ছে না। কারণ মাদক পাচার রোধে জেলা পুলিশ সব সময় কঠোর অবস্থানে আছে।’
পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট