চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম নগরী

কমেছে পরিবেশ ও শব্দ দূষণ

বন্ধ রয়েছে যানবাহন ও কলকারখানার কালো ধোঁয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

৬ এপ্রিল, ২০২০ | ২:৪৮ পূর্বাহ্ণ

  • বর্তমানে নেই যানবাহন ও কলকারখানার কালো ধোঁয়া।
  • ছোটবড় তিন হাজারের মত শিল্প কারখানা ও প্রায় আড়াই লাখের মত যানবাহন রয়েছে। এগুলো বর্তমানে বন্ধ।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধ করতে দেশে আজ ১২ দিনের মত অঘোষিত লকডাউন চলছে। তাই আগের মত নির্গত হচ্ছে না যানবাহন ও কলকারখানার কালো ধোঁয়া। ফলে বন্ধ হয়েছে পরিবেশ দূষণ। যান চলাচল সীমিত থাকায় কমেছে শব্দ দূষণও। নগরীতে মোট যানবাহনের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার। আর শিল্প কারখানা রয়েছে প্রায় তিন হাজারের মত। যানবাহন ও কলকারখানার কালো ধোঁয়া বন্ধ থাকায় সারা দেশের মত চট্টগ্রামের পরিবেশ অন্যান্য যে কোন সময়ের চেয়ে একেবারেই ভিন্ন, শান্ত ও দূষণ মুক্ত। অন্যদিকে, খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না, আর যারা বাইরে বের হচ্ছে যৌক্তিক কোন কারণ না পেলে প্রশাসন তাদের জরিমানা করে কিংবা বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠাচ্ছে। চট্টগ্রাম পরিবেশ অদিধপ্তর সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরীতে ছোটবড় মিলে প্রায় তিন হাজারের মত শিল্প কারখানা রয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শিল্প কারখানা রয়েছে সিইপিজেড এলাকায়। এরপর কেইপিজেড, কালুরঘাট শিল্প এলাকা ও নাসিরাবাদ শিল্প এলাকায় শিল্প কারখানা রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে এসব অঞ্চলের শিল্প কারখানা বন্ধ থাকায় পরিবেশ দূষণ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নগরীতে ছোটবড় সব মিলে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজারের মত। তবে বর্তমানে জরুরি পণ্য পরিবহন, এম্বুলেন্স, প্রশাসন ও সংবাদপত্রের গাড়ি ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। যে নগরীতে আগে যানবাহনের কর্কশ শব্দে ঘুম ভাঙতো, এখন তাদের ঘুম ভাঙছে পাখির কিচির মিচির ডাকে। এই শহরেও যে পাখি আছে এমন কথা ভুলতে বসা মানুষের মনে তাই কিছুটা হলেও ফিরে এসেছে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা। ‘লকডাউনের’ কারণে যেমন কমেছে কলকারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া এবং বর্জ্য, পাশাপাশি কমেছে যানবাহনের কালো ধোঁয়া। উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ধাপে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
পরে দ্বিতীয় ধাপে তা বৃদ্ধি করে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয় এবং সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে তা বৃদ্ধি করে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট