চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনা রোগীর জন্য ৭২ বেডের ক্যারাভান হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহ

মানবতার কল্যাণে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশন

বিজ্ঞপ্তি

৫ এপ্রিল, ২০২০ | ৮:৪৪ অপরাহ্ণ

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণে পুরো পৃথিবী এখন স্তব্ধ। ছন্দপতনে ঘটেছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে। বাংলাদেশও এর বিস্তাররোধে কার্যক্রম চলছে। ঠিক তখনি সামাজিক দায়বদ্ধতায় নীরবে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরী।

গত ১৫ দিনে তিনি নগরীর চান্দগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা, রাউজান ও বোয়ালখালী উপজেলায় প্রায় সাড়ে হাজার পরিবারের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। একই সাথে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা ও পাশ্ববর্তী পাড়া মহল্লায়, মসজিদে সচেতনামূলক প্রচারণা, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, সড়কসমূহে জীবাণুনাশক পানি ছিটানোসহ নানামুখী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। চলমান এ কর্মকা- অব্যাহত থাকবে বলে তাঁর নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছেন।

শুধু পণ্যসামগ্রী বিতরণ নয়, হাসান মাহমুদ চৌধুরীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কে এন হারবার কনসোর্টিয়াম লিমিটেড ক্যারাভানগুলোর সমন্বয়ে দেশের মানুষের চিকিৎসার স্বার্থে হাসপাতাল তৈরির চিন্তা করছে। যাতে রয়েছে ৭২ বেডের ক্যারাভান। দেশের যেকোন জায়গায় স্থানান্তরযোগ্য এ হাসপাতালে আরো থাকবে অফিস ক্যারাভান, রান্না ঘরের ক্যারাভান, খাওয়া-দাওয়ার ক্যারাভান, জরুরি বৈঠকের ক্যারাভান ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান সমৃদ্ধ ক্যারাভান।

নিজের মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে হাসান মাহমুদ চৌধুরী নিজেকে দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবায় নিয়োজিত রেখেছেন। নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবেও নিজস্ব অর্থায়নে তিনি অনেকগুলো সামাজিক ও উন্নয়ন কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও তিনি অকাতরে দান করে থাকেন। শুধু এবার নয়, বিগত বছরগুলোতে মানবতার সেবায় কাশেম-নুর ফাউন্ডেশন মানুষের বিপদ-আপদে যুক্ত থাকেন। তারই ধারবাহিকতায় তিনি এবার এই মহাদুর্যোগেও দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস বিস্তাররোধে প্রধানমন্ত্রীর করণীয় অনুসরণ করে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরী বিভিন্ন কর্মকা- ছাড়াও তাঁর নিজ এলাকা রাউজানের কদলপুর ও চান্দগাঁও থানাধীন সমশেরপাড়া, ফরিদাপাড়া, চান্দগাঁও আবাসিক, বিভিন্ন মাদ্রাসা, দক্ষিণ নালাপাড়া এবং বোয়ালখালী উপজেলায় আজ রবিবার (৫ এপ্রিল) পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার পরিবারের নিকট খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। চলমান এ সহযোগিতার মাধ্যমে রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নসহ নগরী ও জেলা বিভিন্ন এলাকায় আরো পণ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সূত্রটি।

এ প্রসঙ্গে কাশেম-নুর ফাউন্ডেশনের কো-চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ চৌধুরী পূর্বকোণকে বলেন, এই দুর্যোগ মোকাবেলা কেবলমাত্র সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে এই যুদ্ধে শামিল হতে হবে। দেশের সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করে এবং অধিকতর সেবাপ্রদানের লক্ষ্যে কে এন হারবার কনসোর্টিয়াম লিমিটেড করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজে স্থানান্তরযোগ্য ক্যারাভান হাসপাতাল তৈরির চিন্তা করছে, যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চলমান রয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি সরকার এবং অন্যান্য ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের অংশদারিত্ব কামনা করেন।’

হাসান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘৭২ বেডের ক্যারাভান হাসপাতালে আরো থাকবে অফিস ক্যারাভান, রান্না ঘরের ক্যারাভান, খাওয়া-দাওয়ার ক্যারাভান, জরুরি বৈঠকের ক্যারাভান ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান সমৃদ্ধ ক্যারাভান। আলোচ্য ক্যারাভানগুলো সম্পূর্ণ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কার্যকর ও উপযোগী এবং সবগুলোই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আসবাবপত্র ও অভ্যন্তরীণ পয়ঃনিষ্কাশন সমৃদ্ধ।

প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অধিক মূল্যের এই ক্যারাভানগুলো হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে এখনই করোনাভাইরাসের চিকিৎসা সেবাপ্রদান সম্ভব। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমোদিত চিকিৎসা সামগ্রী যেমন- আইসোলেশন, আইসিইউ, ভ্যান্টিলাইজেশনসহ আনুষাঙ্গিক চিকিৎসাসামগ্রী প্রয়োজন।’-বিজ্ঞপ্তি

 

 

 

 

পূর্বকোণ/এমএ-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট