চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

করোনা মোকাবেলা সংক্রান্ত সভা

যারা করোনা রোগীর সংস্পর্শে যাবেন তারাই পিপিই পরবেন : ডিসি

৪ এপ্রিল, ২০২০ | ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

  • ২৪ টি এম্বুলেন্স প্রস্তুত : সিভিল সার্জন
  • চকিৎসকদের জন্য দুই হাজার পিপিই প্রদান এস আলম গ্রুপের

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেছেন, সারাদেশ করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের জন্য প্রয়োজনীয় কিট ও সরঞ্জামাদি প্রস্তুত রয়েছে। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি ও হাঁচি নিয়ে হাসপাতালে গেলে আতংকিত না হয়ে রোগীর শরীরে করোনার লক্ষণ আছে কিনা নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করার জন্য ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি হাসপাতালে মানসম্মত ল্যাব রয়েছে। রোগীর শরীরে করোনা পজেটিভ হলে বিআইটিআইডি, জেনারেল হাসপাতাল, বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতাল ও ইম্পেরিয়েল হাসপাতালে আইসোলেশন বেড এবং ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত পরিমাণে পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) মজুদ রয়েছে। যারা করোনা রোগীদের সংস্পর্শে যাবেন শুধুমাত্র তারাই পিপিই পরিধান করবেন, অন্যরা নয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পার্কভিউ ও ইম্পেরিয়েল হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পিপিইও সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হবে। করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া রোগীদের ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী সরকারিভাবে দাফন ও দাহ করার জন্য মহানগর, জেলা, ও উপজেলা পর্যায়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি রয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে কেউ যেন বিনা চিকিৎসায় বাড়ি না ফিরে সে ব্যবস্থা ও করা হচ্ছে। তিনি গতকাল (শুক্রবার) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলা সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী এস.আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের জন্য জেলা প্রশাসকের হাতে দুই হাজার পিপিই তুলে দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের পিএস আকিজ উদ্দিন।

কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত জেলায় মোট হোম কোয়রেন্টিনে রয়েছে ৮৭১ জন, ছাড়পত্র নিয়ে মুক্ত হয়েছে ১০২ জন এবং আইসোলেশন বেডে রয়েছে ২ জন রোগী। চট্টগ্রাম বিআইটিআইডিতে এ পর্যন্ত করোনা সন্দেহে ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও ফলাফল নেগেটিভ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২ এপ্রিল চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলা থেকে ২ জন করে মোট ৩০ জন ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে বিআইটিআইডিতে প্রেরণ করা হয়েছে। এটার ফলাফল খুব দ্রুত সময়ে পাওয়া যাবে। চট্টগ্রাম জেলারেল হাসপাতালে ভেন্টিলেশনসহ ১০টি আইসিইউ বেড বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে বসানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ে নগরীর পার্কভিউ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের আইসিইউ বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া চমেক হাসপাতালের যেসব আইসিইউ বেড রয়েছে সেগুলো প্রয়োজন হলে ব্যবহার করবো।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৪ টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম চালু রয়েছে।
পিপিই সরবরাহ বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৩৯৯৮ টি পিপিই মজুদ রয়েছে। এস.আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে আরো ২ হাজার পিপিই পাওয়া গেছে। এগুলো থেকে ১৫ উপজেলায় ১৫’শ পিপিই দেয়া হবে। এছাড়া বাকি পিপিইগুলো করোনাভাইরাসের চিকিৎসার প্রয়োজনে সরবরাহ করা হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এ.কে.এম এমরান ভূইয়া, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ (উপ-পরিচালক), জেলার এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক শরীফুল হাসান, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট